মিরপুরের সেই বিদুৎস্পৃষ্ট শিশু বেঁচে গেল

প্রকাশিত




প্রবল বৃষ্টিতে জমা পানিতে রাজধানীর মিরপুরে বিদুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নয় মাসের শিশু হোসেনও আহত হয়। তাকে পা ধরে টেনে তোলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় আহত হোসেনের পা ধরে টেনে তোলেন একজন।


টেনে তোলার পর আশপাশের মহিলারা তাকে বাসায় নিয়ে রসুনের তেল মাখায়। পরে যখন তার নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল তখন তাকে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

শিশুটিকে উদ্ধারকারী তৃতীয় লিঙ্গের বৃষ্টি নামে একজন ও আমেনা। তারা বলেন, শিশুটি পানিতে ভাসছিল, দেখতে পেয়ে পা ধরে উঠাই।


পরে আশপাশের মহিলারা তাকে বাসায় নিয়ে রসুনের তেল মাখায়, পরে যখন তার নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল তখন তাকে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তারা আরো জানান, চিকিৎকরা শিশুটিকে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি দেন। সেখান প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সকালে তাকে ছেড়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। পরে আমরা তাকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাই।

সেখানে তার অন্যান্য আত্মীয়স্বজরা রয়েছেন। বর্তমানে তাদের কাছে রয়েছে শিশুটি।
সত্যতা নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া। শিশুটির বাসা মিরপুরে কমার্স কলেজের কাছে ঝিলপাড় বস্তির বিপরীত পাশে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গতকাল রাতে বৃষ্টি চলাকালীন মিরপুর এগারোর শাহআলী থানাধীন কর্মাস কলেজের বিপরীত পাশের রাস্তায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চারজনের মৃত্যু হয়।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মিরপুর মডেল থানার ডিউটি অফিসার রুহুল আমিন।
জানা যায়, ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকাসহ মিরপুরও পানিতে ডুবে যায়। পানিতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়লে বিদ্যুতায়িত হয়ে ওই চারজনের মৃত্যু হয়।

মিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন তখন বলেন, ‘বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পানিতে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে চারজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন শিশু, একজন নারী ও দুইজন পুরুষ রয়েছে। চারজনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

আপনার মতামত জানান