দুস্থদের খাবার! নষ্ট হলো ইউএনও’র বাসভবনে নষ্ট হলো

প্রকাশিত

বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসায় মিলল দুস্থদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ২৭০ বস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ ও নষ্ট হয়ে যাওয়া খাবার। এসব খাবার তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করেন। বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও অসহায় পরিবারের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে মানবিক সহায়তা হিসেবে এসব খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত সময়মতো দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করায় খাবারের মেয়াদ শেষ ও নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বদলিজনিত কারণে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্তের বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবস ছিল। চাকরির বিধি মোতাবেক রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় তার বদলির আদেশ হয়েছে। তার বাসায় মজুদ রাখা দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ২৭০ বস্তা খাবার বুঝে পেয়েছি। তবে অধিকাংশ বস্তার খাবারই নষ্ট হয়ে গেছে। পরবর্তিতে উপজেলা পরিষদের সভায় এ খাবারগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ইউএনও’র কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ জুন ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন সঞ্জয় কুমার মহন্ত। গত ৭ মার্চ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় তার বদলির আদেশ হয়। তিনি দাপ্তরিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দের বিভিন্ন সমগ্রীর সাথে দুস্থদের খাবারও বুঝিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে ইউএনওর সরকারি বাসায় মজুদ রাখা দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবারের বস্তা ভ্যানে করে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসায় পৌঁছে দেন। প্রতি বস্তায় রয়েছে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি চিঁড়া, ২ কেজি চিনি, ২ লিটার সয়াবিন তেল, গুড় ও ১ প্যাকেট সেমাই। বস্তার গায়ে লেখা আছে ২০২০-২১ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত এসব খাবার। ইউএনও’র বাসা থেকে খাবারের বস্তাগুলো বের করার সময় তা সংবাদকর্মীদের নজরে আসে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, ২০২২ সালের ২৫ জুলাই ৫০০ বস্তা খাবার বরাদ্দ পাওয়া যায়। কিন্ত এলাকায় বন্যা না হওয়ায় খাবারগুলো বিতরণ না করে বাসায় সংরক্ষণ করি। পরবর্তিতে বিভিন্ন সময় দুস্থদের মাঝে ২৩০ বস্তা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। অবশিষ্ট খাবার ঈদের আগে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের মাঝে বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্ত বদলির আদেশ হওয়ায় তা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করেছি। তবে কয়েকটি বস্তার খাবার নষ্ট হয়ে গেছে।

আপনার মতামত জানান