ডায়াবেটি আক্রান্তরা কতটুকু ফল খাবেন

প্রকাশিত

এখন প্রচুর ফলের সমারোহ। কিন্তু এ সময় ডায়াবেটিসের রোগীদের অনেকে একটু মন খরাপ করেই থাকেন। আম, লিচু, কাঁঠাল, তরমুজ ইত্যাদি ফল খাওয়া কি তাঁদের একেবারেই নিষেধ? ব্যাপারটা তা নয়। আর সব খাবারের মতো ফলমূল খাওয়ার বেলায়ও তাঁদের হিসাব বজায় রাখতে হবে।

ডায়াবেটিস রোগীরা যেকোনো খাবার গ্রহণের আগে ভাবা উচিত সেই খাবারটির ক্যালরি মান কত, গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড কেমন।

কোন খাদ্য রক্তে সহসা কতটা শর্করা বাড়িয়ে দিতে পারে তার গাণিতিক হিসাব হলো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ও গ্লাইসেমিক লোড। জিআই ৫৫–এর নিচে হলে তাকে কম জিআইযুক্ত খাবার, ৫৬ থেকে ৬৯ হলে মধ্যম জিআই খাবার এবং ৭০–এর বেশি হলে তাকে উচ্চ জিআই খাবার বলা হয়। যে খাবারের জিআই যত কম, সেটা তত কম শর্করা বাড়ায়।

আবার জিআইয়ের সঙ্গে খাবারের শর্করার পরিমাণ পূরণ করে তার শতাংশ করলে গ্লাইসেমিক লোড জানা যায়। এর ওপর ভিত্তি করে খাবারগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: নিম্ন (১০ বা এর কম), মধ্যম (১১-১৯) এবং উচ্চ (২০ বা তার বেশি)।

আসুন জেনে নিই একজন ডায়াবেটিসের রোগী দিনে কোন ফল কত পরিমাণে গ্রহণ করতে পারবেন। মনে রাখবেন।

তাজা ফলমূলে আছে প্রচুর আঁশ, ভিটামিন ও খনিজ। তাই ফল একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না।
প্রধান খাবারের পর ফল খাবেন না, এতে শর্করা বেশি বাড়বে। মধ্য সকাল বা বিকেলে খাবারের বিরতিতে খান।
একসঙ্গে অনেক ফল খেয়ে ফেলবেন না। একেক দিন একেক রকমের ফলের স্বাদ গ্রহণ করুন।
ফলের মৌসুমে অন্যান্য শর্করা যেমন ভাত, রুটি, আলু কমিয়ে ফেলতে পারেন।
কিডনি রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

লেখক: পুষ্টি বিশেষজ্ঞ

আপনার মতামত জানান