জেলা পরিষদ নির্বাচনে মূখ্য ভূমিকা রাখতে পারে আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন (ভিডিও)

প্রকাশিত
Featured Video Play Icon


আসন্ন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতিক না থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হচ্ছে জাতীয় পার্টি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মধ্যে। জাতীয় পার্টি স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার একক নেতৃত্বে এগিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগের অন্তকোন্দলে আবারও ধরাশায়ী হতে পারে নির্বাচনী মাঠে। বহুনেতায় বিভক্ত আওয়ামী লীগে নেতৃত্বের দ্বন্ধে কোনঠাসা হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরেই। তাদের কোন্দলের কারনে এ আসনটি হাতছাড়া হয়েছে বলে ধারনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়পরাজয়ে মূখ্য ভুমিকা রাখতে পারে গত ৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে উত্তরাঞ্চলের নেতাদের সাথে ঘটে যাওয়া আচরন।

সোনারগাঁয়ে আওয়ামী লীগে কোন কোন্দল নেই ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নেতারা এমন ঘোষনা দিলেও সম্মেলন কেন্দ্রেই তার উল্টো চিত্র দেখা দেখা গেছে। রাতের আধাঁরে প্রতিদ্বন্দ্বী নেতাদের ফেষ্টুন, ব্যানার ছিড়ে ফেলার ঘটনা দলটি আবারো বিভক্তির দিকেই ঠেলে দেয়। এর চূড়ান্ত রূপ নেয় সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু ও দীপক কুমার বনিকের সমর্থকদের ধাওয়া দিয়ে, মারধর করে মঞ্চ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া এবং মারধর করে সমর্থকদের পরিহিত বিরু ও দীপকের ছবি সংবলিত টি-শার্ট জোড় করে খুলে ফেলা। সেদিনের ঘটনায় উত্তরাঞ্চলের নেতা কর্মীদের ক্ষোভ হয়ত জেলা পরিষদ নির্বাচনে পড়তে পারে।

এ ঘটনায় কায়সার ও কালামের সমর্থকদের দায়ী করেছেন অনেকে। মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করার অভিযোগ করেন অনেক নেতাকর্মী। সেদিন মাঠে টিকতে না পেরে সময় আসলে দেখে নিব হুমকি দিয়ে অনেকেই সম্মেলন কেন্দ্র ত্যাগ করেন।

নিজ দলের সমর্থকদের হাতে ধাতে ধাওয়া ও মার খাওয়ার অপমানের লজ্জায় ডা. বিরু ও দীপক বনিকের কর্মী সমর্থকদের কান্না ও ক্ষোভে সেদিন থমকে গিয়েছিল পুরো পরিবেশ। বিষয়টি কৃষিমন্ত্রী ও দলীয় নীতিনির্ধারকের অন্যতম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকে মঞ্চেই অবহিত করে দীপক কুমার বনিক দীপু।
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়পরাজয়ে মূল ভূমিকা রাখবেন উত্তরাঞ্চলের জনপ্রতিনিধিরা এমনই আভাস দিয়েছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা। তবে উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি ডা. বিরু ও দীপক কুমারের সমর্থক। ১৭ তারিখের নির্বাচনী ফলাফলই প্রমান করবে আওয়ামী লীগ কি কোন্দল মিটিয়ে এক হতে পেরেছেন কিনা। কে হাসবে বিজয়ের হাসি? জাতীয় পার্টির আবু নাঈম ইকবালের তালা নাকি মোস্তাফিজুর রহমান মাসুমের হাতি।

 

আপনার মতামত জানান