খাওয়ার সময় ছাত্রলীগ কর্মীকে দুই পায়ে গুলি

প্রকাশিত



নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর পদিপাড়া বাজারে সোহাগ (২৫) নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। সোহাগকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মী মো. সোহাগ বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কোটরা মহব্বতপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে সোহাগ উপজেলার পদিপাড়া বাজারের একটি খাবার হোটেলে খেতে বসেন সোহাগ। হঠাৎ মোটরসাইকেলে মুখোশধারী তিন যুবক এসে তাকে দুই পায়ে গুলি করে এবং হাতে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়।

লন্ডন থেকে ধর্মঘট পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী: ওবায়দুল কাদের
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে: ট্রাক শ্রমিক-মালিক ফেডারেশন

সৌদি আরবে গিজার পিরামিডের চেয়েও প্রাচীন প্রস্তরখণ্ড, রহস্য ঘনীভূত

বেগমগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রুহুল আমিন জানান, গুলিবিদ্ধ সোহাগ আগে ছাত্র শিবির করতো। কিছু দিন আগে সে ছাত্রলীগে যোগ দেয়। আগে সে যাদের সঙ্গে শিবির করতো তারাই তার ওপর গুলি চালিয়েছে বলে ধারণা করছি।

বেগমগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে।

নাটোরের গুরুদাসপুরে মাথার খুলি ও মগজ বিহীন এক শিশুর জন্ম হয়েছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার নাজিরপুর বাজারের আনোয়ার ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়াগনস্টি সেন্টার নামে একটি বেসরকারী হাসপাতালে ওই শিশুর জন্ম হয়। জন্মগ্রহণ করা ওই শিশুর বাবা-মার বাড়ি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের বৃ-কাশো গ্রামে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বৃ-কাশো গ্রামের কৃষক এমদাদুল হকের স্ত্রী নাসরিন বেগম তার দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য ওই ক্লিনিকে আসেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.মো.আমিনুল ইসলাম সোহেল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে শিশুটি জন্ম নেয়। জন্মগ্রহণের পরেই দেখা যায়, মাথার খুলি ও মগজ নেই। তবে শিশুটির মা ও শিশু সুস্থ্যভাবে এখনও বেঁচে আছেন।

শিশুটির কৃষক বাবা এমদাদুল হক জানান, তিনি পেশায় কৃষক। তাদের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। দ্বিতীয় সন্তান প্রসবের জন্য ক্লিনিকে ভর্তি করেন। অভাব অনটনের সংসার। সদ্য জন্মগ্রহণ করা দ্বিতীয় পুত্র সন্তানের নাম এখনও রাখা হয়নি। তার মাথার খুলি ও মগজ নেই। উন্নত চিকিৎসা করলে হয়তো তার শিশু বাচ্চা এই পৃথীবিতে বেঁচে থাকবে। কিন্তু উন্নত চিকিৎসা করার মত তার সামর্থ্য নেই। তাই সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ডা.মো. আমিনুল ইসলাম সোহেল জানান, মাথার খুলি ও মগজবিহীন যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করেছে সেটি একটি রোগ। এই রোগের নাম এনেনসেফালি। তার অপারেশন জীবনে তিনি এমন অনেক শিশু দেখেছেন। এটি মূলত জীন ও হরমোনের সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। তবে এই শিশুগুলো বেঁচে থাকে না। তারপরও অনেক চেষ্টা করা হয় শিশুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য। বাকিটুকু মহান আল্লাহ্ পাকের ইচ্ছা। তবে উন্নত চিকিৎসা করালে বাঁচানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

আপনার মতামত জানান