হত্যা মামলার আসামীরা বার বার হামলা করছে বাদীদের, পুড়িয়ে দিচ্ছে ঘরবাড়ি

প্রকাশিত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার টেমদী গ্রামে হত্যা মামলাসহ পাঁচটি মামলায় আসামিরা জামিনে এসে এলাকায় আবারো মামলার বাদি ও তার স্বজনদের তিনটি বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটায়। এতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

জানা যায়, উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের টেমদী গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মাহবুব মিয়াকে গত বছরে ৩১ শে ডিসেম্বর পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করার পর ৮ মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গত ২৩ আগস্ট তিনি মারা যান। পরে হত্যা মামলার আসামিরা বাদি পক্ষের আত্মীয় মামুন মিয়া, ডাঃ হালিম মিয়া ও সফিউল্লার ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পৃথক ঘটনায় থানায় চারটি মামলা দায়ের করার পর আসামীদের বিরুদ্ধে পরোয়না জারি করা হয়।

মামলার আসামিরা জামিনে এসে ইসহাক মিয়ার নেতৃত্বে তাওলাদ হোসেন, আতাউর রহমান, মতিউর রহমান, মোক্তার হোসেন, নাবু মিয়া, মিলন মিয়া, হারুন মিয়া, জাকির হোসেন, কবির হোসেন, আল আমিন, আলমগীর হোসেন, রবিন হোসেন, আবু হানিফ, মোমেন মিয়া, মাছুম মিয়া, গিয়াস উদ্দিন, আমিন উদ্দিন ২০/২৫ জনের একদল সন্ত্রাসী গত সোমবার গভীর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় নিহত মাহাবুব হোসেনের চাচা প্রবাসী হালিম মিয়ার ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে তিনটি ঘরে অগ্নি সংযোগ করে। এতে নগদ দেড় লাখ টাকা, স্বর্ণালংকার সহ ২০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসী জানান, এসহাক মিয়া ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট ও মারামারি সহ ৫টি মামলায় ওয়ারেন্ট থাকার পরেও তারা পুলিশের নাকের ডগায় কিভাবে প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করে।
মামলারবাদী জানান, আসামিরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য আমাদেরকে হুমকি প্রদান করছে। বাড়িঘরে আগুন দিয়ে লুটপাট করছে। এতে আমরা নিরাপত্তাহীনতা ও আতংকে দিন কাটাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ইসহাক মিয়া অগ্নি সংযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার ।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, অগ্নি সংযোগের বিষয়ে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত জানান