ওয়াদা ভঙ্গ! মহানবী (সা.)-এর কঠোর হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত



মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ওয়াদা পালনে দৃঢ় হওয়া। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ওয়াদা পালনে দৃঢ়তার সুনাম করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর স্মরণ করুন এই কিতাবে ইসমাঈলকে, তিনি তো ছিলেন প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী এবং তিনি ছিলেন রাসুল, নবী। ’ (সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৫৪)

এখানে ইসমাঈল (আ.)-এর ওয়াদা পালনে দৃঢ় থাকার সুনাম করা হয়েছে।

আমরা অনেক সময় যা করব না বা করতে পারব না, সেসব বিষয়েও ওয়াদা করে থাকি। এটা ঠিক নয়। মহান আল্লাহ এমনটি করতে নিষেধ করেছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা যা কর না, তোমাদের তা বলা আল্লাহর কাছে অতিশয় অসন্তোষজনক। ’ (সুরা, আস-সফ, আয়াত : ৩)

তা ছাড়া ওয়াদা ভঙ্গ করা মুনাফিকের আলামত। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে বিদ্যমান সে হচ্ছে খাঁটি মোনাফিক। যার মধ্যে এর কোনো একটি স্বভাব থাকবে, তা পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত তার মধ্যে মোনাফিকের একটি স্বভাব থেকে যায়। ১. আমানত রাখা হলে খিয়ানত করে। ২. কথা বললে মিথ্যা বলে। ৩. অঙ্গীকার করলে ভঙ্গ করে। ৪. বিবাদে লিপ্ত হলে অশ্লীলভাবে গালাগাল করে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪)

তাই ওয়াদা ভঙ্গ করা কোনো মুমিনের কাজ হতে পারে না। মহান আল্লাহ এই কাজটিকে এতটাই ঘৃণা করেন যে কিয়ামতের দিন এই পাপে পাপীদের আলাদা পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে দেবেন। ইবনে উমার (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে ‘(কিয়ামতের দিন) ওয়াদা ভঙ্গের নিদর্শন হিসেবে প্রত্যেক ওয়াদা ভঙ্গকারীর জন্য একটি পতাকা স্থাপন করা হবে। ’ (বুখারি, হাদিস : ৩১৮৮)

অর্থাৎ তাদের দেখলেই মানুষ বুঝবে এই লোক দুনিয়াতে ওয়াদা পালন করত না। মহান আল্লাহ সবাইকে এই পাপ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন

আপনার মতামত জানান