সোনারগাঁয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ঘিরে রাখে বির্তকিত ও অনুপ্রবেশকারীরা

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ :
সোনারগাঁয়ে যে কোন অনুষ্ঠান, দলীয় কিংবা রাষ্ট্রীয় কাজে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কোন নেতা, আমলা, এমপি কিংবা মন্ত্রী আসলে তাদের ঘিরে রাখে বির্তকিত ও অনুপ্রবেশকারী নেতারা। এতে ত্যাগী নেতারা মনের ক্ষোভ নিয়ে দূরে সরে থাকায় বির্তকিতরা ফায়দালুটে বলে অভিযোগ একাধিক নেতাকর্মীর।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা জানান, বর্তমানে পুরো দলকে কুক্ষিগত করে রেখেছে অনুপ্রবেশকারী ও বির্তকিত নেতারা। তারা বড় বড় নেতা, মন্ত্রী এমপি, সরকারী আমলা, প্রশাসন ক্যাডারের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথে ছবি সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড করেই নেতা বনে যাচ্ছে। জামাত, বিএনপির অনুচর হিসেবে তারা কাজ করে বিধায় বিতর্কিত এ নেতাদের পিছনে জামাত বিএনপি মোটা অংকের টাকা লগ্নি করে বলেও জানান তারা। সে টাকায় অনুপ্রবেশকারীরা দলীয় নেতাদের ম্যানেজ করে পদপদবী নিয়ে বিশেষ বাহিনী তৈরি করছেও বলেও তারা নিশ্চিত করছেন।

সোনারগাঁ আ’লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতারা জানান, অনুপ্রবেশকারীরা অদৃশ্য কৌশলে পদপদবী নিয়েই টেন্ডার ও চাঁদাবাজি করে বিশাল টাকার মালিক বনে যায়। গড়ে তোলে নিজস্ব বাহিনী। তারা জানান সোনারগাঁয়ে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটির অধিকাংশ সদস্য বিএনপি, জামাত থেকে অনুপ্রবেশ করেছে। তাছাড়াও একাধিক খুনের মামলার আসামী, চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী, পরিবহন চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, নৌ চাঁদাবাজ রয়েছে। তাদের টাকার কাছে ত্যাগী নেতারা অসহায়।

সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাষ্ট্রীয় কিংবা দলীয় কাজে সোনারগাঁয়ে আসলে দেখা যায় তাঁর চারিদিকে শুধু বির্তকিত ও অনুপ্রবেশকারী নেতারা ঘিরে রেখেছে। ত্যাগী নেতারা এ অবস্থা থেকে দলকে উত্তরনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে দেখা যায়, নেতা বদলাতে সিদ্ধহস্ত এবং পল্টিবাজ হিসেবে পরিচিত সোনারগাঁয়ের মোহাম্মদ হুসা্ইন, চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দুইদিক থেকে এবং তাদের অনুগামীরা চারিদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। এটা সোনারগাঁ আ’লীগের জন্য অশনী সংকেত বলে অনেকে মনে করছেন। এ অবস্থার অবসান চান সকলে।

আপনার মতামত জানান