‘ত্রাণ চাই না, চাই টেকসই বেড়িবাঁধ’
খুলনার পাইকগাছায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পূর্ণিমার প্রবল জোয়ারের পানির চাপে ২৭ কিলোমিটার ওয়াপদার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে কোমর পানিতে দাঁড়িয়ে এক কিশোরের বুকে লেখা নিবেদন ‘ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চাই’ সবার নজর কেড়েছে।
জানা যায়, বুধবার দুপুরের জোয়ারে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন একটি পৌরসভার প্রায় ২৭ কিলোমিটার ওয়াপদার রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে এলাকায় পানি প্রবেশ করে। যার মধ্যে সোলাদানা, দেলুটি, গড়ইখালী, কপিলমুনি, লতা ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকা ভেঙে ও ওয়াপদার বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়। এর মধ্যে সোলাদানা ইউনিয়নে সর্বাধিক ৬ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পবিত্র কুমার দাস জানান, উপজেলায় ৬৬০ হেক্টর চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়ে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকার চিংড়ি ও মৎস্য সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলায় তেমন কোনো ফসল না থাকায় কৃষিক্ষেত্রে তেমন ক্ষতি হয়নি, তবে দেলুটি ও গড়ইখালী ইউনিয়নে ১ হেক্টর জমিতে লবণ পানি উঠে আউশ ধানের বীজতলা নষ্ট হয়েছে।
টেকসই বেড়িবাঁধের জন্য যুগ যুগ ধরে আবেদন-নিবেদন করে আসলেও অদ্যাবধি ওয়াপদার বাঁধ রক্ষায় কেউ এগিয়ে না আসায় প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে এমনিভাবে সর্বসাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে জান-মাল ও সম্পদের। এরই কারণে কোমর পানিতে দাঁড়িয়ে এক কিশোরের বুকে লেখা নিবেদন ‘ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চাই।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, পূর্ণিমার জোয়ারের পানিতে বিভিন্ন ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সার্বক্ষণিকভাবে সতর্কতার সঙ্গে সবকিছু দেখা হচ্ছে।
সূত্রঃ যুগান্তর
আপনার মতামত জানান