জাপান-দ. কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের ‘নতুন যুগের’ সূচনা

প্রকাশিত


চীনকে পাশ কাটিয়ে ‘ত্রিপক্ষীয় অংশীদারত্বের নতুন যুগের’ সূচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনে ক্রমাগত উত্থানের বিপরীতে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া আরও গভীর করতে ওয়াশিংটনের অদূরে ক্যাম্প ডেভিডে বৈঠকে বসেছিলেন তিন দেশের প্রধানেরা। বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, পারস্পরিক সমৃদ্ধি এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সংযোগ আরও বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।


কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার ক্যাম্প ডেভিডে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইওল ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই তিন দেশের শীর্ষ নেতাদের প্রথম বৈঠক এটি।


এই বৈঠক এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার বারবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি নিয়েও উদ্বিগ্ন জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।

বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক নিরাপত্তা সমুন্নত রাখতে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অংশীদারত্ব শক্তিশালী করতে এবং পারস্পরিক সমৃদ্ধি এগিয়ে নিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’ বিবৃতিতে তিন দেশের নেতারা দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বিপজ্জনক আগ্রাসী আচরণ এবং পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক অস্ত্র প্রকল্পের কড়া নিন্দা করেন।

বৈঠকে নেতারা বাৎসরিক সামরিক মহড়া, তিন দেশের মধ্যে যোগাযোগব্যবস্থা বাড়ানো এবং একটি সরবরাহ চেইনবিষয়ক সতর্ক ব্যবস্থা স্থাপনসহ সম্পর্ককে আরও প্রাতিষ্ঠানিক করে তোলার কথাও ঘোষণা করেন। তাঁরা আরও জানান, আঞ্চলিক সংকটের সময় দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে একটি হটলাইন স্থাপন করার পরিকল্পনা করেছেন। এ ছাড়া দেশগুলো উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে দ্রুততম সময়ে তথ্য লেনদেন করবে, পাশাপাশি সরকারি সংস্থাগুলোও এ বছরে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসবে।

আপনার মতামত জানান