আগষ্ট মাসে পুলিশের হাতে দুই ব্যবসায়ী নিহত, বিক্ষোভে উত্তাল সোনারগাঁ।

প্রকাশিত

আগষ্ট এলেই সোনারগাঁয়ের মানুষের উপর উপর নেমে আসে পুলিশের অমানবিক নির্যাতন। গত ২০১৬ সালের ৩ আগষ্ট পুলিশের নির্যাতনে সোনারগাঁ পৌরসভার রাইজদিয়া গ্রামের পান ব্যবসায়ী মতিন হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো ৯ আগষ্ট ২০১৯ শুক্রবার বিকেলে সাদিপুর ইউনিয়নের নানাখি এলাকায় তেল ব্যবাসায়ী হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের নানাখি উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে ও স্থানীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল বাদশা বাজারে দীর্ঘদিন ধরে সয়াবিন তেলের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলো। গত সোমবার বিকেলে সোনারগাঁ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ তার দোকানে গিয়ে ব্যবসায়ীক কাগজপত্র দেখার নাম করে তার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে আসে। গতকাল শুক্রবার সাদা পোশাকে ওই এএসআই কনস্টেবল তুষারকে নিয়ে পুনরায় ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। এসময় নিহত আব্দুল বাদশাকে দোকানে না পেয়ে তার ছেলে মিঠু নিকট আবারো ব্যবসায়িক কাগজপত্র দেখতে চান। মিঠুর নিকট কাগজপত্র না থাকায় তার বাবাকে ফোন দিলে ব্যবসায়ী আব্দুল বাদশার আসতে দেরি হয়। পুলিশ সদস্যরা পুনরায় ওই ব্যবসায়ীর কাছে টাকা দাবী করলে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবসায়ী আব্দুল বাদশা ও ছেলে মিঠুকে চড় থাপ্পর ও মারধর করে। এ সময় পুলিশের একঘুষিতেই বাদশা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পুলিশ দস্যদের আটক করে এবং আহতকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই ব্যবসায়ী মারা যায়।

নয়াপুর এলাকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ সবাই। নানা অজুহাতে ব্যবসায়ীদের কাছে টাকা দাবি করে পুলিশ। টাকা না দিলেই মারধর ও মামলার হুমকি দিয়ে থাকে। এ হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার দাবী করেনন তারা।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত ব্যবসায়ীর পরিবারের সাথে কথা বলেছি। পারিবারিক সুত্র জানিয়েছে, এর আগে সে দুইবার ষ্টক করেছে। পুলিশের সাথে কথা বলার সময় আবারো ষ্টক কের মৃত্যু বরণ করেছে। এ ব্যাপারে তাদের কারো বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ নেই।

আপনার মতামত জানান