সহনশীল হওয়ার উপদেশ দিয়ে ইউএনও নিজেই ফাইনাল খেলার ট্রফি ভেঙ্গে ফেলেন
উপস্থিত দর্শকদের সহনশীল হওয়ার উপদেশ দিয়ে ইউএনও নিজেই শেতশত দর্শকদের সামনে খেলার ট্রফি ভেঙ্গে ফেলেন। এতে খেলোয়ার, দর্শক ও মঞ্চে আমন্ত্রিণ অতিথিদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। ফাইনাল খেলা শেষে ফুটবল টুর্নামেন্টের বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রফি (কাপ) ভেঙেছেন বান্দরবানের আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম এমন অনাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়েছেন। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ভাইরাল হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে আবাসিক জুনিয়র একাদশ বনাম রেপার পাড়া বাজার একাদশের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ দর্শকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ফাইনাল খেলার ট্রফি ভেঙে ফেলেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৩৫ মিনিট করে ৭০ মিনিট খেলার পর কোনো দলের গোলা না হওয়ায় টাইব্রেকারের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। খেলায় চার টাইব্রেকারে আবাসিক জুনিয়র দলের তিন গোল হয় এবং টাইব্রেকার রেপার পাড়া একাদশের এক গোল হয়। এতে আবাসিক জুনিয়র একাদশ চ্যাম্পিয়ন এবং রেপার পাড়া একাদশ রানার্সআপ হয়।
এ নিয়ে সমাপনী বক্তব্যে ইউএনও উপস্থিত দর্শকদের বলেন, খেলার হার জিত থাকবে। এতে কারও মন খারাপের কারণ নেই। তিনি দর্শকদের কাছে খেলার ফলাফলে সন্তুষ্ট কি-না জানতে চান। এ সময় কয়েকজন খেলার ফলাফল মানি না বলাতে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। টেবিলে থাকা চ্যাম্পিয়ন এবং রানার্সআপ ট্রফি ভেঙে ফেলেন।
আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম বলেন, ‘খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে ফাইনাল খেলার ট্রফি ভেঙে ফেলেন তিনি। একজন সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের আচরণ খুবই দুঃখজনক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও মেহরুবা ইসলামের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়। খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, একজন ইউএনও এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। ঘটনাটি দুঃখজনক। তিনি ট্রফি না ভেঙে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারতেন।
আপনার মতামত জানান