সোনারগাঁয়ে চোরাই তেল চক্র ফের সক্রিয়

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ >>
র্যা ব-১১ একটি দল সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে অভিযান চালিয়ে তেল চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতা রফিকুল ইসলাম সরকারসহ দুই জনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। ৯ দিন জেল হাজতে থাকার পর আদালত থেকে জামিনে এসেই চিহ্নিত চক্রটি আবরও সক্রিয়ভাবে তেল চুরি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান, সোনারগাঁয়ের মেঘনা নদীতে চলাচলরত বিভিন্ন জাহাজ থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার তেল চুরি করছে চক্রটি। চোরাই তেল স্থানীয় বাজার ও নদীর ঘাটে দোকান খুলে বিভিন্ন ইঞ্জিন চালিত নৌযানে বিক্রি করছে। এ সিন্ডিকের সাথে পিরোজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ২০-২৫জন প্রভাবশালীরা জড়িত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তাদের প্রভাবের কারণে স্থানীয় প্রশাসনও অসহায় হয়ে পড়েছে।

জানা যায়, প্রভাবশালী এ চোরাই সিন্ডিকেট মেঘনা নদীর বিভিন্ন জাহাজ থেকে সয়াবিন, পামওয়েল, ডিজেল ও কেরোসিন তেল চুরি করে নিয়ে আসে। চুরি করা এসব তেল স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে ও মেঘনা নদীর তীরে ছোট ছোট ঘর নির্মাণ করে ডিজেল ও কেরোসিন তেল বিক্রি করে থাকে। চোরাই তেলের ব্যবসা করে অল্প দিনেই কোটিপতি বনে গেছেন অনেকে। প্রকাশ্যে চোরাই ব্যবসা করলেও অদৃশ্য তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সম্প্রতি র্যা ব-১১ অভিযান চালিয়ে ১০ ব্যারেল চোরাই তেলসহ মেঘনা ঘাট এলাকা থেকে সেলিম রেজা নামের একজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারের পর তাদের সিন্ডিকেটের নাম একে একে বেরিয়ে আসে। সেলিম রেজাকে র্যা বের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিতে সিন্ডিকেটের প্রধান রফিকুল ইসলাম সরকার ১০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে গিয়ে টাকাসহ গ্রেফতার হয়। তার স্বীকারোক্তিতে র্যা ব তার বাড়ির ঘাট থেকে প্রায় ২১ লাখ টাকার চোরাই তেলসহ তিনটি স্টিলের বোর্ড জব্দ করে। এ ঘটনায় ৯ দিন হাজত বাস করার পর জামিনে এসে চক্রটি আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

এদিকে এবছরের ১৫ জুলাই রফিকুলের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে মাদক ও চোরাই তেল ব্যবসা বন্ধের দাবিতে ছয়হিস্যা ও কান্দারগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কাছে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে রফিকুল ইসলাম সরকার জানান, আমি তেল চুরির সাথে জড়িত নই। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে।

চুরির মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সোনারগাঁ থানা পুলিশ মামলার তদন্ত করছে।

আপনার মতামত জানান