বিষাক্ত মানুষের ছোবল থেকে বেচে থাকা-তৌহিদ এলাহী

প্রকাশিত

মানুষের ভালো-মন্দ বলে কিছু নেই । আজ যা ভালো কাল তা মন্দ , আমার কাছে যা ভালো অন্যের কাছে তা বাজে। সমাজে বেচে থাকতে হলে ভালো-মন্দ মানুষ নিয়েই বেচে থাকতে হয়। তবে বাছাই করে যদি মানুষের সাথে মিশতে হয় তাহলে ক্লাসিফিকেশন হতে পারে বিষাক্ত (Toxic), কম বিষাক্ত, অবিষাক্ত।

দুনিয়ায় এত মানুষ, তাই সকল মানুষকে ভাল মানুষে পরিণত করা আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়–আদতে প্রয়োজনও নেই। সবচেয়ে ভাল উপায় বিষাক্ত মানুষগুলোকে চিনে ফেলা, তারপর একটু দুরত্ব বজায় রাখা। এটা করতে পারলে বেশিরভাগ সমস্যার সমাধান। আর যদি সমস্যাগুলো নিজেরও থাকে, তাহলে দ্রুত বিদায় করে ঝরঝরে হয়ে যাওয়া উচিত।

জীবন দুর্বিসহ করে দেয়া এ বিষাক্ত মানুষগুলো চোখের দেখায়, কানের শোনায়, অল্প বোঝায় অনেক বেশি চার্মিং ও এট্রাক্টিভ হতে পারে। এদের চার্মিং ইনিশিয়াল ইম্প্রেশনের ফাদে পরে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। মানুষ এ বিষগুলো কিছুটা পায় জেনেটিক্যালি, সিংহভাগ আসে শিশুকালের গ্রুমিং/বেড়ে উঠার পরিবেশ বা পরিবার থেকে, বাকিটা সামান্য আসে টিনেজ পরবর্তী জীবন ও অভিজ্ঞতা থেকে।

বিষাক্ত মানুষগুলোর প্রধান প্রকারভেদগুলো হলো:

১। হাইপার-পারফেকশনিস্ট:
প্রথম দেখায় মনে হবে খুব পরিশ্রমি, জীবনের সবকিছু কাজে ঢেলে দেয়। ভীষণ রেজাল্ট-ওরিয়েন্টেড। সবকিছু হায়েস্ট স্ট্যান্ডার্ড-এ রাখার জন্য চিতকার-চেচামেচি , নিচের লোকজন সঠিকভাবে কিছু করতে পারছে না বলে মনের দু:খের শেষ নেই। এমন মানুষ দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলেই ভুলের মধ্যে পড়ে যাবেন। এদের বিষের উৎস হলো এরা কিছুই ডেলিগেট করতে পারে না, সবকিছু কব্জায় রাখতে চায়। স্ট্যান্ডার্ড আর ডেডিকেশনের আড়ালে ক্ষমতা আর নিয়ন্ত্রণের সীমাহীন লোভ। এরা কাউকে বিশ্বাস করতে পারে না। এদের ধারণা তিনি ছাড়া সবাই লুথা, অকর্ম, ফাকিবাজ। এরা আসলে কিছুই গুছিয়ে করতে পারে না। শুরুতে দু-একটা ছোট সাফল্য দেখাতে পারলেও এরা একটা টিমকে গুছিয়ে তুলতে পারে না। ফলে লংরানে ব্যর্থ হয়, বাকি সবাইকে অতিষ্ঠ করে ফেলে। আপনি যাই করবেন তারা সন্তুষ্ঠ হতে পারবে না, সবকিছুকে গিলে খাবে তাদের বাজে ব্যবহার, দুশ্চিন্তা আর নিয়ন্ত্রণের লিপ্সা। এই ধরণের চরিত্রের উৎপত্তি ছোটবেলায় ঐ ব্যক্তির উপর পরিবার বা সিস্টেমের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের কারণে।

২। চির-বিদ্রোহী:
প্রথম দেখায় এরা দুর্দান্ত মনে হতে পারে। এরা অথরিটিকে ঘৃণা করে, দুর্বলকে ভালবাসে। সবকিছুকে যুক্তি দিয়ে উড়িয়ে দিতে পারে, সার্কাজম হিউমারেও বেশ ভাল। একদম আমাদের স্বপ্নমানবের বৈশিষ্ট্য। এরা নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না, মনে করে নিয়মকানুন এসব দুর্বলদের জন্য। তবে গভীরভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন , এক জায়গায় অনড়–তারা মনে করে তারা সবার চেয়ে সুপিরিয়র, এই ব্যাপারে কোন ব্যতিক্রম নেই। ছোটবেলায় পিতামাতা বা কোন ফাদার ফিগার থেকে নিষ্পেষিত হলে মানুষের এই সমস্যা দেখা দেয়। এরা সকল ধরণের অথরিটিকে ঘৃণা করে। এদেরকে দিয়ে কিছুই করাতে পারবেন না। কোনভাবে তাদের চেয়ে ভাল করলে তারা আপনাকে শোষক/নির্যাতক গ্রুপের মেম্বার হিসেবে চিহিত করবে, কটু কথা , সার্কাজম, হিউমারে আপ্নাকে পুড়িয়ে মারবে। এরা বিদ্রোহী ভাব ধরে এটেনশন পায়, এটেনশনের নেশা হয়ে যায়, এটেনশন সুপিরিয়রটি ধরে রাখার জন্য যে কোন সম্পর্ক বাজেভাবে শেষ করে , তীব্র অপমান করতে কার্পণ্য করে না। দিনশেষে এটা তাদের কাছে ক্ষমতার খেলা, এ ব্যাপারে তারা কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয় না। এদের সাথে ডিল করা আর দুরন্ত ষাড়ের সামনে লাল কাপড় পড়ে দাড়িয়ে থাকা একই ব্যাপার।

৩। দ্যা পারসোনালাইজার- সিবকিছু পার্সোনালি নেয়া:
শুরুতে এদের মনে হবে চিন্তাশীল, সেনসিটিভ , একটু দুখী মনের নরম মানুষ। বুদ্ধিমান , বিবেকবান, এমনকি এক সাথে দীর্ঘ সময়ের সাথী হওয়ার মত মনে হতে পারে। বাট সময় গেলে বোঝা যায় এদের সেনসিটিভিটি বা চিন্তা সব একদিকে প্রবাহমান– খালি নিজের দিকে। লোকে যাই বলুক নিজের উপর টানবে। যেই জিনিস মানুষ ভুলে যায়, হয়ত নীরিহ কিছু বলে আপনি নিজেই ভুল গেছেন, এরা সেই কথাও দীর্ঘদিন ভেতরে পুষে রাখে। ছোটবেলা থেকেই এদের স্বভাবটা হয় যে , পরিবার বা কাছের লোকদের থেকে ভালোবাসা, এটেনশন, এটা-সেটা কিছুই পায় নাই বলে তাদের উপলব্ধি হতে থাকে। এ থেকে আর বের হতে পারে না। বড় হতে থাকে আর সব না পাওয়ার বেদনা কুড়ে কুড়ে খায়। আশা করে বসে থাকে কোন কিছু না চাইলেও লোকে তাকে ভরে ভরে দিবে। একদম কান খাড়া করে থাকে — লোকে যথেষ্ঠ পাত্তা দিল কিনা, সম্মান দেখাল কিনা, আর কি দিল-কি দিল না? বিরক্তিকর, সেন্সটিভ স্বভাবের কারণে দীর্ঘমেয়াদে তাদের চেহারায় হতাশা আর বিরক্তির ছাপ পড়ে , লোকজনের সাথে সম্পর্ক নষ্ঠ হয়ে যায়, সর্বদাই তারা নিজেদের বঞ্চিত মনে করে। ভুলেও এদের কখনো অপমানসূচক কিছু করবেন না, এদের স্মৃতি অত্যন্ত প্রখর। অনন্তকাল পরে হলেও হাজারগুনে ঐ অপমান আপনাকে ফিরিয়ে দেবে। সবচেয়ে ভাল হয় চিনে ফেলার সাথে সাথেই কোন না কোনভাবে এভয়েড করা। এদের সাথে যে কোন লেভেলের সম্পর্কের জন্য প্যাড়া খাওয়া মাস্ট।


৪.। দ্যা ড্রামা ম্যাগনেট- নাটকবাজ:
এদের প্রেজেন্স অনেক চমকপ্রদ, উইটি। আশে পাশে থাকাটাও মজার লাগতে পারে। বাট কমেডি ট্রাজেডির দিকে মোড় নিতে পারে যে কোন সময়। ছোটবেলায় এরা শিখেছে ভালোবাসা ও এটেনশন পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো ঝামেলা তৈরি করে পিতামাতা /ফেমিলিকে নিজের দিকে ইমোশোনালি ব্যস্ত রাখা। ঝামেলার সাথে ইমোশনাল কানেকশন খুজে পায়। অন্যরা যেখানে ঝামেলা এড়িয়ে চলে, এরা ঝামেলা খাদক, ঝামেলাকে উপজ্যিব্য করে বেচে থাকে। নিজেকে তুলে ধরে ঝামেলার ভিকটিম (ফেইক) হিসেবে। প্রকৃত ভিক্টিমদের লাইফ ত্যানা ত্যানা করে দেয়, ভিক্টিম খুজে বেড়ায়। অন্য সব টক্সিসিটি যেমন অতীতের ধারাবাহিক বদ অভ্যাস স্টাডি করে খুজে পাওয়া যায়, অতীতের প্যাটার্ন ধরেই এটা বের করেই সাথে সাথে এদের থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।

৫। দ্যা বিগটকার- চাপাবাজ:
এদের আইডিয়া দেখে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। আইডিয়া বাস্তবায়নে আপনার হেল্প- ব্যাকাপ চাইবে, তাদের সুন্দর লম্বা বয়ানে মুগ্ধ হয়ে আপনার অর্থ-বিত্ত-সময়-শ্রম ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সিদ্ধান্তের আগে তার অতীত সফলতার খোজ নিন। আপাতদৃষ্টিতে এরা ক্ষতিকর মনে হবে না। কিন্তু একবার চাপার কাছে নতি স্বীকার করলে আপনার সময় ও রিসোর্স নষ্ঠ হতে পারে। এরা আসলে নিজেরাও শিউর না -পারবে কি পারবে না। বাট এটেনশন ও ক্ষমতার লোভ সাম্নলাতে পারে না। একসময় সুযোগ বুঝে সটকে পড়ে। নতুন গল্প আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়। ব্যার্থতার জন্য অজুহাত বের করে আনে। অন্যের উপর , সমাজের উপর , ভাগ্যের উপর দোষ চাপায়। সফল হলে সব ক্রেডিট তার। ইনকন্সিসটেন্ট আচরণের পিতামাতার সন্তানেরা এমন হতে পারে। ছোটবেলায় সামান্য কারণে মারধোর বকাবাদ্য শুনেছে। এরা তখন থেকেই অত্যাচার থেকে বাচতে গল্প বানাতে শেখে কিন্তু এ গল্পের বাস্তব রুপ দেয়ার মত সামর্থ তাদের গড়ে উঠে না।

৬। দ্যা সেক্সুয়ালাইজার – এহেম!:
এটা তাদের নেশার মত। অল্প বয়সে হয়ত খুব বেশি সমস্যা হয় না, চার্মিং ক্যারেক্টারের কারণে অনেক সাপ্লাই পায়। সব কাজের মধ্যে এই জিনিস খুজে বেড়ায়, এটাকে রিওয়ার্ড হিসেবে দেখে। না পেলে বিগড়ায়ে যায়। বেশি সমস্যা হয় বুড়া হইলে, যখন চার্ম কমে যায়, তখন বুড়াভাম হয়ে যায়। টপ/লিডারশিপ পজিশনে গেলে নিচের দিকে হাত দেয়। না পাইলে সুইসাইডাল/এগ্রেসিভ বিহেভ করে, এই ব্যাপারে হিতাহিত জ্ঞান কম কাজ করে। নিজের ক্ষতি নিজে ডেকে আনে। শিশুকালে ডাইরেক্ট-ইনডাইরেকটলি এবিউজড হলে এই কম্পালসিভ ব্যাড হ্যাবিট গ্রো করে।

৭। দ্যা প্যাম্পার্ড প্রিন্স/ প্রিন্সেস– রাজার ভাবে থাকা:
এদের চেনা বেশ সহজ। কলিজা কেটে ফ্রাই করে খেতে দিলে বলবে লবণ কম, ঝাল বেশি। আশে পাশের সবাইকে নিজের চাকর-সেবক মনে হবে। সবাই শুধু তাকেই দেবে, অন্যদের থেকে নিয়েই তাদের ধন্য করবে। তার দেয়ার কিছু নেই, তবে কমপ্লেইনের অভাব নাই। ছোটবেলায় পরিবারের অতিআদর এই কম্পালসিভ ব্যবহার গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

৮। দ্যা প্লিজার- মুখে মধু অন্তরে বিষ:
সামনে পেলে অনেক প্রশংসা করবে, সুন্দর সুন্দর কথা বলে আপনাকে খুশি করবে। খেয়াল রাখবেন কেউ কি সত্যের বাইরে গিয়ে বাড়িয়ে বাড়িয়ে কিছু বলে আপনার প্রশংসা করছে? এমন হলেই অন গার্ড এ থাকুন। কারণ আড়ালে গেলেই এ আপনার বদনাম করবে। লাইফ হেল করে দেবে। এ আচরণ কমপালসিভ, বদনাম না করে আসলে থাকতে পারে না। প্রশংসা করে ভিক্টিমের গ্রাউণ্ড রেডি করে পরে বাশ দিয়ে দেয়। ছোটবেলায় জাজমেন্টাল পরিবেশে বড় হলে এই বদভ্যাস গ্রো করে।

৯। দ্যা স্যাভিওর – পুরান বাংলা সিনেমা:
ছোটবেলায় এদের কেয়ার পাওয়ার চেয়ে কেয়ার গিভিং এর কাজ বেশি করতে হয়েছে। পিতামাতা ছোটভাইবোন বা ফেমিলির কাউকে বেশি সেবাযত্ন দিতে দিতে বড় হয়েছে। বড় হয়ে সুযোগ পেলেই কাউকে হয়ত সেবা দেবে, গাইড করবে, হেল্প করবে। বাট এখানেই শেষ নয়। একবার তাদের কেউ সেবা/হেল্প/গাইড এর রিসিভার হলে রিসিভারদের সে আষ্টেপৃষ্টে বেধে ফেলবে, স্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাইবে। তার ক্ষমতা বলয়ের মধ্যে রাখবে। কেউ যদি হেল্প করে , কেয়ার করে , গাইড করে আপনাকে ফ্রি করে দেয় সে মহান। পুরানা নায়িকা এমন শাবানা এমন মহান ক্যারেক্টারে অভিনয় করত, কিন্তু সবাইতো শাবানা না। আসলে উপকারের তলে চাপা দিয়ে রেখে দিতে চাইলে সে টক্সিক। এরা হেল্প করে পরে খোটা দিয়ে আপনার পিন্ডি চটকায়া দেবে। মাঝেই মাঝেই কিরা কাটা লাগবে- যে কেন আপনি তার হেল্প নিয়েছিলেন?

১০। দ্যা ইজি মোরালাইজার: সুন্দর সুন্দর জ্ঞান দেবে, মহান ভাব ধরবে। ভাল করে খোজ নিলে দেখা যাবে এরা নিজেদের এম্পলয়ি/ ফেমেলির সাথে খারাপ ব্যবহার করে। বাট মোরালাইজিং, প্রিচিং করে ভালো ফ্যান ফলোয়ার পায়, একটা ক্ষমতা বলয় গড়ে তুলে। এবস্ট্রাকট গুনাবলী (সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়ণতা, ভালোমানুষী) প্রিচিং করলেও এগুলা সে নিজে প্র‍্যাক্টিস করে না, এগুলা তার ভং। এদের সিক্রেট লাইফ প্রিচিং এর উল্টা। মোটিভেশন পাওয়ার ভাল। অন্যের ভাল দেখতে পারে না। বদনাম করে। তার কাছে মানুষ এক্সট্রিম দুই টাইপ: শয়তান বা ফেরেস্তা, মাঝে কিছু নাই। আসলে এরা মুখে যেসব খারাপ বলে -মনে মনে তা চায়। এদের চেনার সহজ উপায়: সুন্দর কথার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ সামান্যতম এম্পেথিওপ্র‍্যাকটিক্যাল লাইফে তাদের নাই। শিশুকালের কিছু বিষয় নিয়ে এদের গিল্টি ফিলিং কাজ করে।

আসল কথায় আসি। টক্সিসিটি বুঝে টক্সিক লোকজনদের এড়িয়ে চলাই যথেষ্ঠ না। আর বেশিরভাগ টক্সিসিটি যেমন হিংসা, আক্রমনাত্বকভাব, অনর্থক আড়ম্বরতা ইত্যাদি ব্যাখ্যার কিছু নাই। এগুলো খালি চোখেই পরিষ্কার বোঝা যায়। আমাদের সবার কম বেশি এক বা একাধিক টক্সিক অভ্যাস থাকতে পারে। এসব অভ্যাসের পেছনে বেড়ে উঠার পরিবেশ বেশি দায়ী। নিজের টক্সিসিটি বুঝে আস্তে আস্তে প্র‍্যাক্টিস করে দূর করা সম্ভব। এটাই বেশি জরুরি।

এত এত টক্সিসিটির বাইরে ভালো গুণাবলী কি নেই?-অবশ্যই আছে। সত্যবাদিতা, ন্যায়পরায়ণতা, অন্যকে সম্মান করা, অন্যের উপকার করা ইত্যাদি মহান গুণ। তবে একদম প্র‍্যাক্টিক্যাল ওয়ার্ল্ডে এগুলা কিছুটা ওভাররেটেড। প্রতিযোগীতার এ দিনে, বেচে থাকার সংগ্রামে, কঠিন এ সময়ে আসলে কোন একটি স্পেশাল গুণ নিজের মধ্যে গড়ে তোলা উচিত? কোন একটি গুণ বন্ধুত্ব, সম্পর্ক, বিশ্বাসের ভিত্তি হওয়া উচিত?

আপনার মতামত জানান