কোচিং সেন্টারের ১২ ছাত্র ও ৪ শিক্ষক খৈয়াছড়া ঝরনা দেখে ফেরার পথে ট্রেন চাপায় ১১ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত
ঝরনা দেখতে যাওয়ার আগে কোচিং সেন্টারের সামনে থেকে ফ্রেমবন্দী শিক্ষার্থী ও শিক্ষক

চট্টগ্রামের হাটহাজারী যুগীরহাট আমানবাজার থেকে মিরসরাই খৈয়াছড়া ঝর্ণায় ঘুরতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় ১১জন যুবক মৃত্যু বরণ করেছেন। শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি তানভীর হাসান হৃদয় বলেন, চট্টগ্রামের হাটহাজারী যুগীরহাট আমানবাজার থেকে আমরা কোচিং সেন্টারের ১২ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষক মিলে খৈয়াছড়া ঝরনায় গিয়েছিলাম। ঝরনা দেখে ফেরার পথে আমাদের মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনায় সময় আমি ঘুমে ছিলাম। বিকট আওয়াজে আমার ঘুম ভাঙে। এরপর ভেতর থেকে কীভাবে বের হয়েছি বলতে পারব না। আমার বাকি বন্ধুদের খবরও এখন পর্যন্ত জানি না।

ঝরনা দেখে ফেরার পথে ট্রেন চাপায় ১১ জনের মৃত দেহ

ঝরনা দেখে ফেরার পথে ট্রেন চাপায় ১১ জনের মৃত দেহ



রেল লাইনের গেটবারটি ফেলা ছিল কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ঘুমে ছিলাম। বিষয়টা বলতে পারছি না। রেলগেট ফেলা থাকলে তো এমন ঘটনা ঘটার কথা না।

তিনি বলেন, ড্রাইভার ও হেলপারসহ আমরা ১৮ জন ছিলাম। আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমাদের সঙ্গে চার জন শিক্ষক ছিলেন। আর ১২ জন আমরা বন্ধু। বন্ধুদের কি হয়েছে এখনও জানতে পারিনি।

এ দুর্ঘটনায় আহত ছয় জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ছয় জন হলেন— মাইক্রোবাসের হেলপার তৌকিদ ইবনে শাওন (২০), একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মাহিম (১৮), তানভীর হাসান হৃদয় (১৮), মো. ইমন (১৯), এসএসসি পরীক্ষার্থী তছমির পাবেল (১৬) ও মো. সৈকত (১৮)।

অন্যদিকে নিহত ১১ জনের মধ্যে ৯ জনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন— কোচিং সেন্টারের চার শিক্ষক জিসান, সজীব, রাকিব ও রেদোয়ান ও কেএস নজুমিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী হিশাম, আয়াত, মারুফ, তাসফির ও হাসান।


আপনার মতামত জানান