ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে, বিশ্ব রাজনীতি

প্রকাশিত



দুই দিন আগে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা করে। এর জেরে ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টা হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৩০০ মানুষ নিহত হয়। তাদের মধ্যে ইসরায়েলের ৮০০ জন এবং ফিলিস্তিনি পাঁচ শতাধিক। উদ্ভূত প্রেক্ষাপটে পুরোনো মিত্র পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছে এবং বরাবরের মতোই মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ নিয়েছে হামাসের পক্ষ।


যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতি তাঁদের দৃঢ় ও অটুট সমর্থন রয়েছে। মার্কিন জাহাজ ও যুদ্ধবিমান ইসরায়েলের কাছে ভেড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সামরিক রসদ ইসরায়েলে সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন।


ইরান: ফিলিস্তিনিদের আত্মরক্ষার অধিকারের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে তেহরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গত রোববার এ মন্তব্য করেন। সেই সঙ্গে এই অঞ্চলকে বিপদগ্রস্ত করার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সৌদি আরব: ‘উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা অবিলম্বে বন্ধ, বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও আত্মসংযম’ দেখানোর জন্য সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আহ্বান জানিয়েছে।

চীন: ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে ‘শান্ত’ থাকতে এবং শিগগির যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।

রাশিয়া: তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি এবং সেই সঙ্গে সমন্বিত, দীর্ঘস্থায়ী ও বহুল প্রতীক্ষিত আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ভারত: ইসরায়েলের ‘কঠিন সময়ে’ দেশটির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলার খবরে ভারত গভীরভাবে হতবাক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

যুক্তরাজ্য: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি যুক্তরাজ্যের ‘অবিচল সমর্থনের’ কথা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। ইসরায়েলকে সাহায্যে যা কিছু করা সম্ভব, সবই যুক্তরাজ্য করবে বলেও জানান তিনি।

তুরস্ক: ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসের প্রতি বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

আপনার মতামত জানান