আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি করতে চান এরদোগান

প্রকাশিত

ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী তৈরির বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের অব্যাহত বিমান হামলার মুখে বুধবার এই দুই নেতা টেলিফোনে কথা বলেন। তুরস্কের এক সরকারি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ডেইলি সাবাহর।

ফোনালাপে এরদোগান পুতিনকে বলেন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি আচরণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইসরাইলকে ‘একটি শক্তিশালী ও প্রতিরোধমূলক শিক্ষা দিতে হবে’। ফিলিস্তিনিদের রক্ষার জন্য একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত বলেও রুশ প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দিয়েছেন এরদোগান।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরাইলকে একটি শক্তিশালী ও প্রতিরোধমূলক শিক্ষা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন এরদোগান এবং এই বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের হস্তক্ষেপ কামনা করে ইসরাইলকে ‘দৃঢ় ও স্পষ্ট বার্তা’ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

গত সোমবার থেকে ইসরাইলের অব্যাহত বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ১৬ শিশুসহ ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ৮৬ শিশু ও ৩৯ নারীসহ গুরুতর আহত হয়েছেন ৩৬৫ জন। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।

অপরদিকে, ইসরাইলকে লক্ষ্য করে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সামরিক শাখার রকেট হামলায় শিশুসহ কমপক্ষে ছয়জন ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ইসরাইলি সৈন্য রয়েছেন। বাকিরা সবাই বেসামরিক। তাদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুই শিশু রয়েছে।

এছাড়া হামাসের হামলায় অন্তত ১০০ জন ইসরাইলি আহত হয়েছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে প্রায় দেড় হাজার রকেট হামলা চালিয়েছে গাজা।

ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় তিনটি বহুতল ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার কালো ধোয়া গাজা শহর আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এসব হামলায় হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা নিহত হয়েছেন। সূত্রঃ যুগান্তর।

আপনার মতামত জানান