হাজীগঞ্জে ঈদ উদযাপন

প্রকাশিত

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে সাদ্রা দরবার শরীফের একাংশ উদযাপন করছেন পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রথম চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে এবং ভোররাতে ঘোষণা দিয়ে পহেলা মে রোববার হাজীগঞ্জের সাদ্রা হামীদিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদারাসা মাঠে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের জামাতে ইমামতি করেন সাদ্রার মরহুম পীরের ছেলে মুফতি জাকারিয়া আল মাদানী।

তিনি বলেন, শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আফ্রিকার দেশ নাইজার, মালি ও এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে চাঁদ দেখার খবর পাই। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে ভোররাতে আমরা ঈদ উদযাপনের ঘোষণা দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে নয়, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে কোরআন ও হাদিসের আলোকে আমরা ঈদ উদযাপন করে থাকি। যার ফলে সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাখি এবং ঈদ উদযাপন করি। তাই আমাদের এখানে এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় ‘ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে স্থানীয়দের মাঝে আগাম ঈদ উদযাপনকারীদের নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীরের ছেলে মুফতি জাকারিয়া আল মাদানীর অনুসারীরা আজ রোববার ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। তারা রোজা ২৯ টা পূর্ণ হয়েছে। অপর দিকে আগামিকাল সোমবার সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে সাদ্রা দরবার শরীফের মরহুম পীরের দৌহিত্র ও মরহুম পীর মাওলানা আবু যোফার আব্দুল হাই সাদ্রাভীর ছেলে মাওলানা মুহাম্মদ আরীফ চৌধুরী সাদ্রাভীর অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করবেন।

উল্লেখ্য, বিশ্বের যে কোনো দেশে চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে প্রতি বছর চাঁদপুর জেলার তিনটি উপজেলার ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়ে আসছে। সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা ৯৩ বছর ধরেই প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে সাদ্রাসহ ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এছাড়াও চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একদিন আগে ঈদ উদযাপন করেন। সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আল্লামা মোহাম্মদ ইসহাক ইংরেজি ১৯২৮ সাল থেকে প্রথম চাঁদ দেখার উপর মিল রেখে ইসলামের সব ধর্মীয় রীতিনীতি প্রচলন শুরু করেন। মাওলানা ইছহাকের মৃত্যুর পর থেকে তার ছয় ছেলে এ মতবাদের প্রচার চালিয়ে আসছেন।

আপনার মতামত জানান