হত্যাকান্ডের ২৭ বছর ডিবির জালে খুনি

প্রকাশিত



ওয়াহিদুল্লাহ থেকে অদুদ নাম ধারণ করে ২৭ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি। নিজের নাম, বাবার নাম, ঠিকানা ও পেশা পরিবর্তন করে নিজ এলাকা ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় নাগরিকত্ব ও ভোটার তালিকাভূক্ত হয়। অবশেষে ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন হত্যাকারী। নাম তার ওয়াহিদুল্লাহ। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মৌটুপি গ্রামের মৃত রূপ বাদশার ছেলে তিনি।


গতকার রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বিন্নারবন্দ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কিশোরগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তাকে কিশোরগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।


পুলিশ জানায়, ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভৈরবের মৌটুপি এলাকা সংলগ্ন রসুলপুরের এক ডোবায় অজ্ঞাতনামা এক নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। বিষয়টি তখন এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ব্যাপারে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান মৌটুপি গ্রামের ওয়াহিদুল্লাহ। পুলিশ আরও জানায়, ঢাকায় বাদাম বিক্রি করতেন ওয়াহিদুল্লাহ। তার কথিত বন্ধু নিজামের সঙ্গে হত্যার শিকার অজ্ঞাতনামা নারীকে তিনি তার বাড়িতে এনেছিলেন। পরে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।

এদিকে মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্রের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পলাতক ওয়াহিদুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আল আমিন হোসাইন জানান, পলাতক ওয়াহিদুল্লাহ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পালিয়ে বেড়িয়েছেন। একপর্যায়ে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার বিন্নারবন্দ এলাকায় গিয়ে নাম, বাবার নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে নতুন পরিচয় ধারণ করেন তিনি। নিজের নাম ও পরিচয় পরিবর্তন করে রাখেন অদুদ মিয়া এবং বাবা ইছব আলী, মায়ের নাম আছব বিবি, সাং–বিন্নারবন্দ, উপজেলা– তাহিরপুর, জেলা–সুনামগঞ্জ, পেশা–কৃষি। ওই এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে তিনি জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) গ্রহণ করেন। স্ত্রী–সন্তানসহ নতুন ঠিকানায় বসবাস করতেন এবং ঐ এলাকায় নিজ নামে জমিও ক্রয় করেন।

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিকভাবে ওয়াহিদুল্লাহ তার প্রকৃত নাম ও ঠিকানা অস্বীকার করলেও জিজ্ঞাসাবাদে ছদ্মবেশের কথা স্বীকার করেন।

আপনার মতামত জানান