সোনারগাঁয়ে দুইবারে দুইরকম রক্তের গ্রুপ নির্ণয়

প্রকাশিত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার হাবিবপুর এলকার মা জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একই ব্যক্তির রক্তের গ্রুপের রিপোর্ট দুইবারে দুই ধরনের শনাক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ে আগের রিপোর্টটি ভুল বলে প্রমাণিত হয়।

জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র সিয়াম ইউনিক কার্ডের জন্য মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় হাজী জালাল টাওয়ারের “মা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক” সেন্টারে গত ৬ মে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে। পরীক্ষায় তার রক্তের গ্রুপ (O+) পজেটিভ শনাক্ত করে। সিয়ামের রক্তের গ্রুপ O+ পজেটিভ সঠিক কিনা নিশ্চিত হতে একই ক্লিনিকে গতকাল আবার রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে। গতকাল তার রক্তের গ্রুপ B+ পজেটিভ বলে ক্লিনিক নিশ্চিত করে। একই হাসপাতালে দুইবারে দুই রকম গ্রুপ শনাক্ত হতে দেখে সিয়ামের অভিভাবকরা আতঙ্কিত হয়ে বিষয়টি আরো নিশ্চত হতে স্থানীয় আরেকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করলে B+ পজেটিভ বলে শনাক্ত হয়।

মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবক সদস্য আবু হানিফ বলেন, দুটি রিপোর্ট একই হাসপাতালে করা, দু’রিপোর্টই টেকশিয়ান রুবেল ও শহীদ সোরয়ারর্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ও প্যাথলজি বিভাগের প্রধান ডা. জিয়াউর রহমানের স্বাক্ষর করা আছে। ছাত্র একই গ্রুপ নির্ণয়কারী টেকনোলজিস্ট এবং ডাক্তার একই ব্যক্তি কিন্তু দুইবারে দুইরকম গ্রুপ শনাক্ত করা মারাত্মক ভুল। এ রিপোর্টের কারনে যে কারো জীবন সংশয় দেখা দিতে পারে।

মা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি (রিপোর্ট) ভুল ছিল না। টেকনিশিয়ানরা মোবাইলে ব্যস্ত থাকার কারনে প্রিন্ট করতে ভুল করেছে। তিনি আরো বলেন, ডা. জিয়াউর রহমান অবসরে আছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বেসরকারি শতাধিক হাসপাতালের প্যাডে মাসে একবার এসে নিজে স্বাক্ষর করে চলে যান। এ বিষয়টা দেখেন ল্যাবট্যাকনলজিস্টরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন কর্মচারী জানান, ডা. জিয়াউর রহমানের প্যাডে নারায়ণগঞ্জ সহ শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল রিপোর্ট করে। বর্তমানে ডা. জিয়াউর রহমান মূলত বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মাসিক/বাৎসরিক চুক্তিতে স্বাক্ষর বিক্রি করেন।

ডা. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘রক্তের গ্রুপ পরিক্ষায় ভুল হওয়ার কথা নয়। হয়তো ল্যাব টেকনোলজিস্টরা ভুল করেছে। এ ব্যাপারে আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।

সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা বলেন, ‘রক্তের গ্রুপ পরিবর্তন হয় না। একই রোগীর রক্ত পরীক্ষা দুই ধরনের রিপোর্টে একটি মারাত্মক ভুল।’

আপনার মতামত জানান