শামীম ওসমানের কেন্দ্রে হারলেন আইভী

প্রকাশিত

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের কেন্দ্রে হেরেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। নগরীর আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে আইভী পেয়েছেন ৩৬২ ভোট। অন্যদিকে এই কেন্দ্রে প্রথম হওয়া অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার পেয়েছেন ৬৮০ ভোট। এই কেন্দ্রে ১১৭৩ জন ভোটার ভোট দেন। তবে দুইটি ভোট বাতিল হয়। আর ২০৮২ জন ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন। রেবাবারের (১৬ জানুয়ারি) এই ভোটে দিনের শেষভাগে এসে ওই কেন্দ্রে ভোট দেন শামীম ওসমান।

এদিকে জানা যায়, রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে শেষের দিকে ব্যটারিচালিত অটোরিকশায় এসে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন শামীম ওসমান। শামীম ওসমান সিটি এলাকার ভোটার কিনা এ নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল সকলের। ব্যাপারটা সারাদিন ধরেই গোপন থাকলেও যখন কেন্দ্র প্রায়ই ফাঁকা, ভোটাররা ভোট দিয়ে চলে গিয়েছে। ঠিক ভোট শেষ হবার আধাঘণ্টা আগে তিনি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। তিনি কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার পরেই সকল ধোঁয়াশা কেটেছে। এবার ধোঁয়াশা কাটলেও শামীম ওসমানের কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আইভী হারায় আবারও জল্পনা কল্পনা শুরু হয়।

উল্লেখ্য, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ৩০ জন ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টি টিম ছিল; যার প্রতিটি টিমে ৪ থেকে ৫ জন পুলিশ সদস্য ও ২০ থেকে ২২ জন আনসার সদস্য। নির্বাচনে মেয়রপদে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন।

তাদের মধ্যে রয়েছেন— খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ (হাত পাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোহাম্মদ রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) ও স্বতন্ত্র কামরুল ইসলাম বাবু (ঘোড়া)। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারকে (হাতি) নিয়েই দেশব্যাপী বেশি আলোচনা ছিল। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দুই প্রার্থীই। এ নির্বাচনে সিটি করপোরেশনের ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে এবং ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আপনার মতামত জানান