বাতাসকে বশীভুত করে তৈরি হলো খাবার

প্রকাশিত

বাতাস দিয়ে প্রোটিনজাতীয় খাদ্য তৈরি করার কথা জানালেন ফিনল্যান্ডের কয়েকজন বিজ্ঞানী। তাঁরা বলছেন, এই খাবার পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে সয়ার প্রতিযোগী হয়ে উঠতে পারে। এ খাবার তৈরিতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সৌর অথবা বাতাস দিয়ে তৈরি হলেও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন প্রায় শূন্যের কোঠায় থাকবে।

এই বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন যদি বাস্তব রূপ পায়, তাহলে কৃষির মাধ্যমে বর্তমানে যেসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইলেকট্রোলিসিস ব্যবহার করে পানি থেকে হাইড্রোজেন আলাদা করা হয়। তারপর সেই হাইড্রোজেন, বাতাস থেকে নেওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মাটিতে পাওয়া যায় (খনিজ পদার্থ) এমন এক প্রকার ব্যাকটেরিয়াকে খাইয়ে প্রোটিনজাতীয় খাদ্য তৈরি করা হয়েছে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সোলেন’, যা খেতে একদম স্বাদহীন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাঁরা এমনটাই চেয়েছেন। এই প্রোটিন সরাসরি না খেয়ে অন্য ধরনের খাবারের সঙ্গে যুক্ত করে পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়। এটিকে ব্যবহার করে বিস্কুট, পাস্তা, নুডল বা রুটি, এমনকি কৃত্রিম মাংস বা মাছ তৈরি সম্ভব। এই প্রোটিন গবাদি পশুর খাবারও হতে পারে।

ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি শহরের পাশে অবস্থিত এই ‘সোলেন’ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তা পাসি ভাইনিক্কা। তিনি যুক্তরাজ্যের ক্র্যানফিল্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। তিনি বলছিলেন, এমন খাবার উৎপাদন প্রযুক্তির ধারণা প্রথম এসেছে ষাটের দশকে। মহাকাশযানে ব্যবহারের জন্য এমন প্রযুক্তির শুরু। তিনি স্বীকার করছেন যে এ কাজে তিনি কিছুটা পিছিয়ে আছেন। তবে আশা করছেন, ২০২২ সালের মধ্যে তাঁরা কাজ শেষ করতে পারবেন।

এই প্রকল্পের জন্য তাঁরা তহবিল তৈরি করছেন। এখন পর্যন্ত ৫৫ লাখ ইউরো জোগাড় হয়েছে। ফ্যাক্টরি পর্যায়ে সোলেন তৈরির কাজ তাঁরা শুরু করতে চান ২০২৫ সালে। সূত্র : বিবিসি।

আপনার মতামত জানান