পৌরসভা নির্বাচনে যোগ্যপ্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান

প্রকাশিত

ক্লিন ইমেজের রাজনীতি করেন তেমন ব্যক্তির কথা বলবো। আর তিনি হলেন গাজী মুজিবুর রহমান। সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সফল সভাপতি। আপাদমস্তক আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত।

ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগে যুক্ত হয়ে আওয়ামী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তবে সহিংস বা প্রতিহিংসার লেশ নেই তার মধ্যে। এ ভালোমানুষটাকে ভালোবেসে এক ঝাঁক তরুণ এবার সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র হিসেবে চাইছেন।

তবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলে নৌকা প্রতীকেই নির্বাচনে যাবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি, নয়তো নয়। গাজী মুজিবুর রহমান বলেন, আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের প্রতিটি মানুষের খোঁজ খবর রাখেন। তিনি চাইলেই এলাকাবাসীর জন্য সোনারগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে লড়াই করবো।

সোনারগাঁ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান ২ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ সালে সোনারগাঁ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডেও গোবিন্দপুর গ্রামের সম্রান্ত মুসলিম এবং আওয়ামী পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন।

গাজী মুজিবুর রহমানের পিতা আলহাজ গাজী আকরাম আলী ১৯৬৬ হইতে ১৯৭৯ সনে আমিনপুর ইউনিয়নের (বর্তমান সোনারগাঁ পৌরসভা) আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতি অগাধ ভালবাসা ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশে অনুপ্রাণীত হয়ে তিনি তার সন্তানের নাম রাখেন মুজিবুর রহমান। আওয়ামী পরিবার হওয়ায় জামাত সমর্থিত বিএনপি ৪ দলীয় জোট ২০০১ সালে নির্বাচনের পর গাজী মুজিবুর রহমানের পরিবারের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে।


১৯৮৫ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে গাজী মুজিবুর রহমানের রাজনীতিতে হাতেখড়ি। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় নানা চড়াই উৎড়াই, জেল জুলুম অতিক্রম করে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে এখনো রাজপথের অতন্ত্রপ্রহরী হিসেবে কাজ করছেন।

২০০৩ সালে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সালে ৯ই জুন সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ সাল পর্যন্ত সুনামের সহিত র্দীঘ ১১(এগার) বছর দায়িত্বে থেকে যুবলীগকে কোন ধরনের টেন্ডার বাজি, চাঁদা বাজি, চর দখল ও জায়গা জমি দখলে কোন ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন না এবং পৌরসভার ও ইউনিয়নের নেতা কর্মিদের কোন ধরনের বেআইনি আবদারে তিনি কখনো সারা দেননি।

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি-জামাত ৪ দলীয় জোট নির্বাচিত হওয়ার পর ০৪ অক্টোবর/২০০১ সালে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল বিএনপি-জামাত ৪ দলীয় জোট সরকারের মন্ত্রী অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিমের নিদের্শে গাজী মুজিবুর রহমানের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় এবং বিভিন্ন সময়ে তাকে এবং তার পরিবারের সবাইকে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আসামী করা হয়। তৎকালীন বিএনপি-জামাত সরকার গাজী মুজিবুর রহমানের বাবা এবং দুই ভাইকে গ্রেফতার করে।

তৎকালীন বিএনপি-জামাত সরকার পতনের আন্দলনে গাজী মুজিবুর রহমানকে ৮টি রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়। পুলিশ হত্যা মামলা, সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে রেকার গাড়ী পুড়ানো মামলা, মেঘনা টোল প্লাজায় গাড়ী ভাংচুর সহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় তাঁর বাড়িতে পুলিশি হয়রানী চলমান ছিল (২০০১ সন হইতে ২০০৬ সন পর্যন্ত)।

গাজী মুজিবুর রহমান আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে বলেন, এবার দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে দলের অনেকেই প্রার্থীতা চাইতে পারেন, আমিও চাইবো।

নিজের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে আমি একজন মাঠের কর্মী। আওয়ামী লীগ সরকার ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য কাজ করছে। এর মধ্যে তো আমরা সবাই আছি। তাদের সাথে সাথে আমাদের ভাগ্যেরও পরিবর্তন হয়ে যাবে। তাই নিজেকে নিয়ে এতো চিন্তা করি না।

তিনি বলেন, মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে জীবনের ৪০টি বছর ধরে সাধনা করছি। সমাজে নানান মতের ও আদর্শের মানুষ থাকে। তাই সমাজের ভারসাম্য রক্ষায় মানবিক সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা এখন খুবই জরুরী।

পৌরসভার একাধিক নাগরিকরা বলেন, আমরাও চাই এমন ব্যক্তি মেয়র পদে আসুক যিনি স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করতে পারবেন। আর গাজী মুজিবুর রহমান –এর মতো ব্যক্তিত্বকেই মনোনয়ন দেওয়া রাজনৈতিক দলের উচিত।

আপনার মতামত জানান