পিরোজপুরে কচুরিপানার ভেতর থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ আটক ৫

প্রকাশিত


পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ভাটার পাশে কচুরিপানার ভেতর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী, শাশুড়িসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়েছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা করেছে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন।


আজ শনিবার সকালে উপজেলার কানুয়া গ্রামের একটি ইটভাটার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার হয়। পরে পৌর এলাকার টিঅ্যান্ডটি রোডে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।


বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুজ্জামান। তিনি বলেন, অজ্ঞাতনামা একটি ফোনকল থেকে হত্যার ঘটনা জানার পরই থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।

নিহত গৃহবধূর নাম সাদিয়া আক্তার মুক্তা (২৮)। তিনি পৌর শহরের টিঅ্যান্ডটি সড়কের মুনিম জমাদ্দারের স্ত্রী এবং উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজিবুর রহমান মুন্সির মেয়ে।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটকেরা হলেন নিহত গৃহবধূর স্বামী মুনিম জমাদ্দার (৩০), শাশুড়ি ছবি আক্তার এবং শাকিব খন্দকার, মারুফ ও সিয়াম খান সজীব নামের তিন যুবক।

নিহত মুক্তার বাবা মজিবুর রহমান মুন্সি জানান, বছরখানেক আগে মুনিম জমাদ্দারের সঙ্গে তাঁর মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয়। কয়েক দিন আগে পারিবারিক কলহের কারণে মুক্তাকে তাঁর স্বামী মারধর করেন। এরপর মুক্তা তাঁর বাবার বাড়ি চলে আসেন। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মুনিম গিয়ে মুক্তাকে আবার তাঁদের বাড়ি নিয়ে আসেন। পরে মুক্তাকে হত্যা করে ইটভাটার পাশে কচুরিপানার ভেতর লুকিয়ে রেখে লাশ গুমের চেষ্টা করেছেন।

আপনার মতামত জানান