নোয়াখালীর ধর্ষক’ মজনু ‘সিরিয়াল র‌্যাপিস্ট’

প্রকাশিত

রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে র্যাব।তার বাড়ি নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার সন্দ্বীপ এলাকায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক মজনুর বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। মজনু মাঝে মাঝে হকারি করে পোশাক বিক্রির কাজ করতো। সে একজন পেশাদার ছিনতাইকারী বলেও জানানো হয়। অভিযুক্ত ধর্ষক মজনু ভিক্ষুক ও প্রতিবন্ধীদের জোর করে ধর্ষণ করতো। মজনু একজন সিরিয়াল র‌্যাপিষ্ট। সে মাদকাসক্ত ছিল। এ কারণে পৈশাচিক শক্তি নিয়ে সে ঢাবি ছাত্রীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাবের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাপিস্ট গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন-কাশেম এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মজনুর ছবি ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে দেখানো হয়েছে। তিনি তাকে ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন। ধর্ষক মজনু নিজেও অপরাধের দায় স্বীকার করেছে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে।

ক্যান্টনমেন্ট থানায় করা এ ঘটনার মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ধর্ষকের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চির মতো। গায়ের রং শ্যামলা, গড়ন মাঝারি। পরনে জিনসের পুরোনো ফুলপ্যান্ট ও ময়লা কালচে ফুলহাতা জ্যাকেট, পায়ে স্যান্ডেল এবং মাথার চুল ছোট করে ছাঁটা। তার সব কিছুই মিলে গেছে বলে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব আরো জানায়, ধর্ষককে গ্রেফতারের পাশাপাশি তার কাছ থেকে ভুক্তভোগীর ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও চার্জার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও একটি টর্চ লাইট জব্দ করা হয়েছে। ধর্ষক মজনুর বাড়ি নোয়াখালী জেলায়। সে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় বসবাস করতো। মাঝে মাঝে কুর্মিটোলা এলাকার পরিত্যক্ত ট্রেনের কামরায়ও থাকতো।

রোববার রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার হন ওই ছাত্রী। বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার জন্য তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। বাস থেকে নামার পর তাকে মুখ চেপে ধরে রাস্তার পাশে ঝোপে নিয়ে মারধর ও ধর্ষণ করা হয়। অজ্ঞান হয়ে যান ওই ছাত্রী। পরে জ্ঞান ফিরলে বান্ধবীর সাথে যোগাযোগ করে পুরো ঘটনা খুলে বলেন। বান্ধবী তাকে ক্যাম্পাসে এনে অন্য বন্ধুদের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন।

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা আলামত, মামলার এজাহারে দেয়া বর্ননার পাশাপাশি ওয়ান স্টপ সার্ভিসে চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা ছাত্রীর বয়ান ধরে সোমবার থেকেই এর তদন্তে নামে বিভিন্ন বাহিনী। সঙ্গে যোগ হওয়া ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ মিলিয়ে করা অভিযানে মিললো একজন।

এদিকে, ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরপরই আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থী ও ছাত্র সংগঠনগুলো। হাসপাতালে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, প্রক্টর ও শিক্ষকরা। গত দুইদিন ধরে ঘটনার প্রতিবাদে নানা কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।

আপনার মতামত জানান