ঈদের প্রস্তুতি নেই সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ >>

ঈদুল ফিতরের তিন দিনের ছুটিতে সারা দেশের বিনোদন কেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও আনন্দ দিতে ঈদের সাজে সেজেছে। ঠিক এ সময়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ময়লা আবর্জনা নিয়ে মলিন মুখে দাঁড়িয়ে আছে। ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ ঈদ উপলক্ষে ফাউন্ডেশনকে ঈদের সাজে সাজানো তো দূরে থাক যাদুঘর চত্বরে ঝাড়ুও পরেনি বলে জানা গেছে।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে শেওলার আস্তরন – ছবি-৪ মে ২০১৯

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, যাদুঘর চত্বরের সর্বত্র ময়লা আবর্জনার স্তুপ, বড় বড় ঘাসের জঙ্গল।যাদুঘরে বেতনভূক্ত মালি ও সুইপার থাকলে ঘাস কেটে মাঠ পরিচর্যা ও মাঠে পড়ে থাকা ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করা হয়নি। পাঠাগারের পাশে শেখ রাসেলের ভাস্কর্যটিতে শেওলা ও ধুলাবালিতে নোংরা হয়ে আছে।

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ছবিতে অযত্নের ছাপ স্পষ্ট

একই অবস্থা বঙ্গবন্ধুর অন্যতম বৃহৎ ভাস্কর্য ও জয়নুল আবেদিন, গরুর গাড়ি এবং বড় সরদার বাড়ির ঘোড়ার ভাস্কর্য। ময়লা আর নোংরা পরিবেশের কারনে ভেতরে প্রবেশকালেই নাকে দূগন্ধ এস ধাক্কা লাগে।

মাটির ভাস্কর্য ঘাসে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। ছবি-ডেইলি সোনারগাঁ

ফাউন্ডেশনের ভেতরের ব্যবসায়ীয়া জানান, দেশের একমাত্র লোক ও কারুশিল্পের বেহাল অবস্থা হলেও দেখার কউ নেই। আমরা শুনেছি এগুলো পরিস্কার করার মতো কোন বাজেট নাকি যাদুঘরের নেই।

যাদুঘর চত্বরের লেকের পাড় ময়লা, ঘাস, লতাপাতার জঙ্গলে পরিনত হয়েছে।

স্থানীয় একজন জানান, যদি পরিচর্যা করে রাখতে না পারেন তবে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান, সকলের প্রিয় শেখ রাসেল এবং জয়নুল আবেদিনের ভাস্কর্য স্থাপনের কি প্রয়োজন ছিলো। তাছাড়া পুরো যাদুঘর ঘাস আর লতাপাতায় জঙ্গলে পরিনত হয়েছে।

ময়লা জমে আছে প্রধান ফটকের পাশের ভাস্কর্যে।

বুধবার ঈদের নামাজের পর শিশুদের নিয়ে অনেকে ছুটবেন অভিভাবকরা আসবেন সোনারগাঁ ঘুরতে, তরুণ-তরুণীরা ভিড় জমাবেন ঐতিহ্যবাহী সোনারগাঁ যাদুঘর ও পানাম নগরীতে।

মাঠ ঘাসে ছেয়ে আছে।

এ ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে ফাউন্ডেশনের কাউকে পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান