অতিরিক্ত মেদে বাড়ে বন্ধ্যত্ব-ক্যান্সারের ঝুঁকি

প্রকাশিত

শরীরে মেদ বেশি পরিমাণে বেড়ে গেলে সেটি আমাদের অনেক ক্ষতি করে। এ বিষয়টি কমবেশি আমাদের সবার কাছেই জানা। আর এটির কারণে আমাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে অনেক বেশি।

মেদ বৃদ্ধির এ সমস্যাগুলো সবার কাছেই মোটামুটি জানা বিষয়। কিন্তু এ সমস্যাগুলোর বাইরেও হতে পারে আরও কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, যা হয়তো আপনি জানেন না। আর এসব প্রতিক্রিয়া আপনার স্বাস্থ্যকে স্বাভাবিকভাবে নষ্ট করে দিতে পারে।

তাই সচেতনতা গ্রহণের লক্ষ্যে আজ জানুন মেদ বৃদ্ধির কিছু গোপন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া—

১. ডিমেনশিয়া

স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া বা ভুলে যাওয়া রোগকে বলা হয় ডিমেনশিয়া। আর এটি হতে পারে আপনার অতিরিক্ত মেদ বৃদ্ধির কারণে। আমাদের মস্তিষ্ক ও পেট একটি, অপরটির সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার কারণে এটি হয়ে থাকে। ২০২০ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা থাকে তাদের ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

২. মানসিক সমস্যা
স্থূলতা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করতে পারে। আর্কাইভস অব জেনারেল সাইকিয়াট্রিতে প্রকাশিত এক গবেষণার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, স্থূলতা আপনার হতাশার ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং হতাশাগ্রস্ত থাকাও আপনার স্থূলতা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। আর এর ফলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়ে আপনি অস্বাস্থ্যকর আচরণ যেমন, অতিরিক্ত খাওয়া, বেশি অ্যালকোহল পান করা, অতিরিক্ত বিষণ্নতা ইত্যাদির কারণ হতে পারে।

৩. বন্ধ্যত্ব
অতিরিক্ত মেদ আপনার বন্ধ্যত্বতার কারণ পর্যন্ত হতে পারে। আমেরিকান সোসাইটি ফর রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিন দেখাচ্ছে যে, স্থূলতার কারণে ছয় শতাংশ নারী গর্ভবতী হওয়ার ক্ষমতা হারায়। আর গবেষণায় দেখা গেছে, স্থূলতার কারণে পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যাও কমে যায়।

৪. ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়
স্থূলতা ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের মতে, প্রতি বছর প্রায় এক লাখ মানুষের ক্যান্সার হয়ে থাকে স্থূলতার কারণে। অতিরিক্ত ওজনের কারণে স্তন, কলোরেক্টাল, জরায়ু, পিত্তথলি এবং কিডনিসহ বেশ কয়েকটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

৫. স্লিপ অ্যাপনিয়া
অতিরিক্ত ওজনের কারণে স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এটি হলে আপনি রাতে ঘুমানোর সময় নাক ডাকা ও শ্বাস নিতে সমস্যায় পড়তে পারেন। ফলে হৃদরোগসহ বেশে কয়েকটি রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

সূত্রঃ যুগান্তর।

আপনার মতামত জানান