লাশ দাফনে এমপি খোকার স্বেচ্ছাসেবক টিম
সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের আলমপুরা গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে আউলিয়া বেগম নামের এক মহিলা মারা যাওয়ার পর ভয়ে লাশ দাফনে কেউ এগিয়ে আসেনি। মারা যাওয়ার পর প্রায় ৬ ঘন্টা ভয়ে কোন আত্মীয় স্বজন এগিয়ে আসেননি। লাশ দাফন করলেন নারায়ণগঞ্জ- ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকার গঠিত স্বেচ্ছাসেবক টিম রাত ১২ টায় দিকে নিহতের বাড়িতে গিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের আলমপুরা গ্রামের হোসেন আলীর স্ত্রী আউলিয়া বেগম কয়েকদিন ধরে জ্বর, ঠান্ডা,শ্বাস কষ্ট ও গলা ব্যাথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ভোগছিলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর ভয়ে আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী করোনার ভয়ে লাশের পাশে যাননি।
খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা তার স্বেচ্ছাসেবক টিমকে রাতে দাফনের জন্য নিহতের বাড়িতে পাঠান। রাত ১২টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক টিম উপস্থিত হয়ে লাশ ঘর থেকে বের করে গোসল করিয়ে জানাযা দিয়ে রাত তিনটার দিকে বাড়িতে ফেরেন।
স্বেচ্ছাসেবক টিমের লিডার মো. সানাউল্লাহ বেপারি বলেন, এমপি মহোদয় রাতেই নিহতের লাশ দাফনের জন্য ওই বাড়িতে পাঠান। রাত ১২টার দিকে ওই বাড়িতে গিয়ে লাশ ঘর থেকে বের করে নানাখি কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মো. সানাউল্লাহ বেপারীর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসেবক টিমে ছিলেন, মো. আবু কালাম, মো. আলী আকবর, মো. গোলজার হোসেন, মাহমুদুল হাসান হৃদয়, গাজী শাহ আলম, মোহাম্মদ ওমর ফারুক, মো. মামুন, মহিলা স্বেচ্ছাসেবক মোসাম্মৎ হোসনেয়ারা বেগম ও আল আমিন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে টিম গঠন করে দেয়া হয়েছে। করোনা মরে লাশ পরে থাকে দাফনের জন্য কেউ এগিয়ে আসে না। এটা অমানবিক। পরে স্বেচ্ছাসেবক টিম গিয়ে রাতে দাফন কাফন করেন।
আপনার মতামত জানান