আমি আপনাদের খোকা-এমপি খোকা (ভিডিওসহ)

প্রকাশিত

দরজা খোলেন মা আমি আপনাদের খোকা। এমপি খোকা। মধ্যরাতে সোনারগাঁয়ের যে কারো দরজায় টোকা দিয়ে এ আওয়াজে অভ্যস্ত হয়ে গেছে খেটে খাওয়া শ্রমিক ও অসহায় মানুষগুলো। দরজা খুলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে খোকার চিরচেনা হাসি মাখা মুখ। হাতে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেয়াজ, মাস্ক সাবান। অসহায় মানুষগুলো জানে তাদের নিজেদের খোকা (সন্তান) তাদের অকুল দরিয়ায় ভাসিয়ে চেলে গেলেও তাদের চোখের মনি খোকা শত ঝরতুফানেও তাদের ফেলে চলে যাবে না। সবার দুঃসময়ে খোকাকে পাশে পাবে এ বিশ্বাস তাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। হাতের ব্যাগ দরিদ্র মায়ের হাতে দিয়ে হাসিমুখে বলবে আমি এমপি খোকা না আমি আপনাদের খোকা।

এ দৃশ্য পরিচিত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে। করোনা ভাইরাসের প্রাদূর্ভাবের শুরু থেকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রামণ ঠেকাতে লকডাউনের পূর্ব পযন্ত মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, টিসু, সাবান ও প্রচারপত্র রাস্তায়, চা দোকানে এবং রাতে বাড়িতে গিয়ে সচেতনামূলক কাযক্রম চালিয়ে আসছেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, অতিরিক্ত মহাসচিব ও স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা।

উপজেলার সাহাপুর গ্রামের দরিদ্র রিক্সাচালক আশরাফুল আলম গত ছয়দিন ধরে ঘর থেকে বের হন না। তিনি জানালেন, ভয় তাঁর জন্যই নয়, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলে তা তাঁর পরিবারের সদস্যের মধ্যেও ছড়াতে পারে। বাইরে মানুষের সংস্পর্শে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয় থাকলেও ঘরবন্দি থেকে না খেয়ে মরার উৎকণ্ঠাও ছিল তাঁর। আর উৎকণ্ঠার মধ্যেই দরজার বাইরে আচমকা ডাক শোনা গেল, আশরাফুল ভাই, বাড়ি আছেন? আমি আপনাদের এমপি। দরজা খোলেই হতবাক বনে যান আশরাফুল। তাঁর সামনে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। আর খাদ্যসামগ্রী হাতে পেয়ে কেঁদে ফেলেন আশরাফুল।

একই কথা বললেন অশীতিপর সম্পারানী। প্রায় ১০ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা যায়। সহায় সম্বলহীন পরিবারটি কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় ঘরবন্দি। এতে চোখে অন্ধকার দেখছিল পরিবারটি। আর এরই মধ্যে বাইরে থেকে ডাক, ‘ মা, বাড়ি আছেন? ঘর থেকে বেরিয়ে চোখ ছানাবড়া। খাদ্যসামগ্রী হাতে সংসদ সদস্য । আর এই দৃশ্যটি ছিল আজ মঙ্গলবার রাত ১০ টার। এ সময় এমপির সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ হাতে দরজায় দরজায় ঘুরেছেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম।

লিয়াকত হোসেন খোকা ঘোষনা দিয়েছেন তার সোনারগাঁয়ে একজন মানুষ না অনাহারে থাকবে না। তাই তিনি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সে ব্যাপারে খোঁজ রাখার পাশাপাশি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছানোর দায়িত্ব নেন নিজেই।

এ ছাড়া করোনাভাইরাস প্রকোপের শুরু থেকে সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে তিনি। এরমধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, সাবান, হ্যান্ডওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ ছাড়াও জীবানুনাশক ঔষধ ছিটানোসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন।

এমপি খোকা বলেন, প্রথম দফায় ৬০০ পরিবারের তালিকা করে তাদের কাছে আমরা খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি নিম্নআয়ের অসহায় মানুষের মাঝে পর্যায়ক্রমে খাদ্রসামগ্রী পৌঁছানোসহ অন্যান্য সহযোগিতা করা হবে। উপজেলার একজন দরিদ্র মানুষ না খেয়ে থাকবে না বলে ঘোষণাও দেন তিনি। তিনি বলেন, সোনারগাঁয়ে সাধারন মানুষের ভালবাসা ছাড়া আমার কোন সম্পদ নাই।

আপনার মতামত জানান