এক নজরে ছাত্রলীগ

প্রকাশিত

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নাম হয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের এই সংগঠনের নাম ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ ও ইংরেজিতে ‘Bangladesh Students League’ সংক্ষেপে বাংলায় ‘ছাত্রলীগ’ নামে ও ইংরেজিতে ‘BSL’ নামে অভিহিত করা হয়। এর জাতীয় ভিক্তিতে সর্বোচ্চ কমিটি কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সংক্ষেপে নির্বাহী সংসদ নামে অভিহিত হয়। সংগঠনের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক ফোরামের নাম কেন্দ্রীয় কমিটি।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অধিকার সংক্রান্ত আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং এগারো দফা আন্দোলন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় স্বাধীকার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের উদ্দেশ্যে ছাত্রলীগ মুজিব বাহিনী গঠন করে, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং বাংলাদেশ বিজয় লাভে ভূমিকা পালন করে।

প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কের ভূমিকা পালন করেন নাঈমউদ্দিন আহমেদ এবং পরবর্তীতে সাংগঠনিকভাবে এর সভাপতি মনোনীত হন দবিরুল ইসলাম। ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন খালেক নেওয়াজ খান।
সুদীর্ঘ এই সময়ে সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হয়েছেন ৫৮ জন নেতা।

১৯৪৮ নাইমউদ্দিন আহমেদ (আহ্বায়ক), ১৯৪৮-১৯৫০ দবিরুল ইসলাম–খালেক নেওয়াজ খান, ১৯৫০-১৯৫২ খালেক নেওয়াজ খান–কামরুজ্জামান, ১৯৫২-১৯৫৩ কামরুজ্জামান–এম এ ওয়াদুদ।
১৯৫৩-১৯৫৭ আব্দুল মোমিন তালুকদার–এম এ আউয়াল, ১৯৫৭-১৯৬০ রফিকুল্লাহ চৌধুরী – আযহার আলী (বিদেশে গমন) শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন (ভারপ্রাপ্ত), ১৯৬০-১৯৬৩ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন–শেখ ফজলুল হক মনি।
১৯৬৩-১৯৬৫ কে এম ওবায়েদুর রহমান–সিরাজুল আলম খান, ১৯৬৫-১৯৬৭ সৈয়দ মাজহারুল হক বাকী–আব্দুর রাজ্জাক, ১৯৬৭-১৯৬৮ ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী–আব্দুর রাজ্জাক।
১৯৬৮-১৯৬৯ আব্দুর রউফ (পদত্যাগ)–খালেদ মোহাম্মাদ আলী, ১৯৬৯-১৯৭০ তোফায়েল আহমেদ–আ স ম আব্দুর রব,১৯৭০-১৯৭২ নূরে আলম সিদ্দিকী–শাহজাহান সিরাজ (বহিষ্কৃত), ইসমত কাদির গামা।
এছাড়া, ১৯৭২-১৯৭৩ শেখ শহিদুল ইসলাম–এম এ রশিদ, ১৯৭৩-১৯৭৪ মনিরুল হক চৌধুরী–শফিউল আলম প্রধান (বহিষ্কৃত), মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ১৯৭৬-১৯৭৭ এম এ আউয়াল (আহবায়ক)।
১৯৭৭-১৯৮১ ওবায়েদুল কাদের–বাহালুল মজনুন চুন্নু,১৯৮১-১৯৮৩ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন–খ ম জাহাঙ্গীর,১৯৮৩-১৯৮৫ আব্দুল মান্নান–জাহাঙ্গীর কবির নানক।
১৯৮৬-১৯৮৮ সুলতান মোহাম্মাদ মন্সুর–মোঃ আব্দুর রহমান, ১৯৮৮-১৯৯২ হাবিবুর রহমান (বহিষ্কৃত), শাহে আলম (কার্যকরী)– আসীম কুমার উকিল, ১৯৯২-১৯৯৪ মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী–ইকবালুর রহিম।
১৯৯৪-১৯৯৮ এ কে এম এনামুল হক শামীম–ইসহাক আলী খাঁ পান্না, ১৯৯৮-২০০২ বাহাদুর বেপারী–অজয় কর খোকন, ২০০২-২০০৬ লিয়াকত সিকদার–নজরুল ইসলাম বাবু, ২০০৬-২০১১ মাহমুদ হাসান রিপন–মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন।
২০১১-২০১৫ এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ–সিদ্দিকী নাজমুল আলম, ২০১৮-(চলমান) রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন (অপসারণ), আল নাহিয়ান খান জয় (ভারপ্রাপ্ত)-গোলাম রাব্বানী (অপসারণ), লেখক ভট্টাচার্য (ভারপ্রাপ্ত)।

আপনার মতামত জানান