কোরবানীর আগে ব্যসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা
ডেইলি সোনারগাঁ >>
কোরবানী কাল আজ তোকে কোরবানী দিবো বলেই ঘরজামাই মামুন অর রশীদ এলোপাথারী কুপাতে থাকে মুদি ব্যবসায়ীকে। ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে গঙ্গানগর গ্রামে। সফিকুল ইসলাম নামের এক মুদি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে তার পরিবার। আহত সফিকুল ইসলাম সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। এ ব্যাপারে তার স্ত্রী সাফিয়া বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভযোগ দায়ের করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার বাদী সাফিয়া বেগম জানান, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামে সফিকুল ইসলাম মুদি দোকানের ব্যবসা করে। ১১ আগষ্ট রাত প্রায় সাড়ে ১১ টায় সে ঈদের বেচাকেনায় ব্যস্ত থাকা অবস্থায় প্রতিবেশী তমিজউদ্দিন দোকানে এসে জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তর্কবিতর্ক করে। এসময় পাশের বাড়ির সফিকুল ইসলাম মাষ্টারের ঘরজামাই মামুন অর রশীদ সংঘবদ্ধ হয়ে ধারালো অস্ত্রদিয়ে দোকানদার সফিকুল ইসলামের মাথায় কোপাতে থাকে। বোমা ও বিস্ফোরক মামলার আসামী বিএনপি নেতা তমিজউদ্দিন ও তার সহযোগী নুরুল আমিন, আনিসুর রহমান টিপু, সাইদুর রহমান মাসুম, মামুনের স্ত্রী নূরজাহান, মামুন মিয়া, ওবায়দুর রহমান অপু, রেজাউল করিম সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দোকানীকে এলোপাথারী মারধর করে। এ অবস্থায় সফিকুলের চিৎকারে তার পাশের ফ্লেক্সিলোডের দোকানদার আলআমিন এগিয়ে আসলে তাকেও নীলাফুলা জখম করে। পরে সকলে একতাবদ্ধ হয়ে মুদি ও ফ্লেক্সি লোডের দোকানে ভাংচুর করে নগদ ২ লাখ টাকা ও ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আহতদের চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসার সময় তারা আবারো সংঘবদ্ধ হয়ে হাসপাতাল মসজিদের সামনে হামলা চালায়। এ সময় উভয়গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, সফিকুল ইসলামের মাথায় গুরুতর জখম হয়েছে। তার মাথায় ১৩ টি সেলাই হয়েছে। সময় মতো হাসপাতালে না আনলে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা ছিলো।
আহত সফিকুল ইসলাম বলেন, তমিজউদ্দিনের সাথে কথাকাটির একপর্যায়ে মামুন অর রশিদ ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার মাথায় কোপ দেয়ার সাথে সাথে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। কোপ দেয়ার আগে সে আমাকে বলে গরু কোরবানীর আগে আজ তোকে কোরবানী দিব।
আহত সফিকুলের ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার রাতে আহত অবস্থায় বাবাকে নিয়ে রাত সাড়ে বারোটায় থানায় আসি। বাবার মুমূর্ষু অবস্থা দেখে ডিউটি অফিসার জানান, আগে চিকিৎসা করুন, পরে আইনী ব্যবস্থা।
অভিযুক্ত মামুন অর রশিদ ও নূরজাহানের সাথে যোগাযোগ করলে তারা এ ব্যাপারে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) হেলালউদ্দিন জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত জানান