জায়েদকে কাদিয়ে হাসতে পারেন নিপুন
‘নোট দিয়ে ভোট’ কেনার অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের। আর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্বাচনের আপিল বোর্ডকে নির্দেশনা দিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। যা আগামী শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) চূড়ান্ত হবে বলে আজকালের খবরকে নিশ্চিত করেছেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
এছাড়া মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদটিও বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ এনেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ।
জানা যায়, তাদের দুজনের প্রার্থিতা বাতিলের জন্য আপিল বোর্ডে আবেদন করেন এই নায়িকা। এরপর বোর্ড নির্দেশনা চেয়ে চিঠি পাঠায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর।
মন্ত্রণালয় দু’পক্ষের কথা শুনে ও পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দেয় আপিল বোর্ডকে। ওই নির্দেশনায় জানানো হয়- শিল্পী সমিতির গঠণতন্ত্র অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার কেবল আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানের রয়েছে। সে মোতাবেক তার সিদ্ধান্তই সকলকে মানতে হবে।
এ প্রসঙ্গে আপিল বোর্ডের প্রধান ও পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘আগামী শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে আমাদের মিটিং হবে। সেখানে আমরা অভিযোগকারী এবং যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদেরকে ডাকা হয়েছে। দুই পক্ষের কথা শুনে আলোচনা করে তার ভিত্তিতে আমরা সিদ্ধান্ত দেবো। ওইদিন নির্বাচন কমিশনকেও ডেকে পাঠিয়েছি। আর আপিল বোর্ডের বাকি দুই সদস্যও উপস্থিত থাকবেন। তাদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা দেবো।’
আইনের ব্যাখ্যা কী: যেহেতু আপিলবোর্ড সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। সেই অধিকর্তা যখন কারো প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন তখন অধিকর্তার সেই আবেদন চূড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে কার্যত রায়ে পরিণত হয়।
করণী: যেহেতু একই পদে তৃতীয় কোনো প্রার্থী নেই তাই এক্ষেত্রে ওই পদে পরাজিত প্রার্থীকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন আপিল বোর্ড।
গত ২৮ জানুয়ারি হয়েছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন। এতে সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খান বিজয়ী হন।
প্রসঙ্গত, জায়েদ ভোট কিনেছেন বলে দাবি তার সঙ্গে ১৩ ভোটে হেরে যাওয়া নিপুণের। এছাড়া বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সবাই জায়েদের পক্ষে কাজ করেছেন বলে অভিযোগ তার
আপনার মতামত জানান