৬ মাসের সন্তান রেখে টাকা-স্বর্ণালংকার নিয়ে স্ত্রী উধাও

প্রকাশিত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ছয় মাসের শিশু সন্তান রেখে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার নিয়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন তাহমিনা বেগম নামের এক নারী। উপজেলার বারদী বাগেরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে ওই নারীর স্বামী রুহুল আমিন স্ত্রী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলাবাজার যাত্রাবাড়ী গ্রামের মৃত কবীরের মেয়ে তাহমিনাকে বিয়ে করেন বাগেরপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন। তাদের সংসারে মোসাম্মাৎ রাইসা নামের ছয় মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

অভিযোগে বাদি রুহুল আমিন উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী তাহমিনা বিভিন্ন সময় তার খেয়াল-খুশি মতো উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা করে আসছিলেন। স্বামীকে মূল্যায়ন ও সাংসারিক কাজকর্ম করতেন না। গোপনে পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। পরকীয়ায় বাধা দিলে স্বামীর সাথে ঝগড়াসহ সংসার করবেন না, বাপের বাড়িতে চলে যাবেন বলে নানা হুমকি দেন তাহমিনা। এ নিয়ে একাধিকবার আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে মীমাংসা করে দিলে সন্তানের দিকে তাকিয়ে সুখের চিন্তা করে ঘর সংসার করে আসছিলেন তারা।

রুহুল আমিন জানান, কিন্তু গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টার দিকে স্ত্রী তাহমিনা ঘরের আলমারিতে থাকা জমি কেনার জন্য রক্ষিত নগদ ৪ লাখ টাকা, ব্যবহৃত ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও কাপড়-চোপড় নিয়ে ছয় মাসের কন্যা সন্তান রেখে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। পরে রুহুল আমিন তার শ্বশুর বাড়িতে যোগাযোগ করলে শাশুড়ি আমেনা বেগম বলেন, তাহমিনা আর ঘর সংসার করবে না- এ ধরনের নানা ধরনের কথাবার্তা বলে ভয়ভীতিসহ মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি দেন।

বাদি রুহুল আমিন বলেন, আমার স্ত্রীকে সবসময় সকল মর্যাদা দিয়ে আসছি। সে এক সময় নিজের খেয়াল-খুশি মতো চলে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বাধা দিলে ঝগড়া করে নানারকম হুমকি দেয়। পারিবারিকভাবে এ নিয়ে মীমাংসা হওয়ার পর গত শনিবার ভোরে আমার শাশুড়ির প্ররোচনায় ঘর থেকে পালিয়ে যায়।

রুহুল আমিন দাবি করেন, তার স্ত্রী তাহমিনা পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে এর আগে পালিয়ে অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেন। এ নিয়ে পারিবারিকভাবে মীমাংসা করে পুনরায় সংসার করেন তারা। এরমধ্যে আবার এ ঘটনা ঘটালেন তাহমিনা।

শাশুড়ি আমেনা বেগম জানান, আমার মেয়ে তাহমিনা আমাদের বাড়িতে আসেনি। সে কোথায় গেছে জানি না।

সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ নেয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আপনার মতামত জানান