সোনারগাঁয় আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

প্রকাশিত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের কর্মী সম্মেলনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। ২৫ জানুয়ারী বুধবার বিকেলে উপজেলার শম্ভুপুরা ইউনিয়নের এলাহী নগর এলাকার স্থানীয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কর্মী সম্মেলনে সংঘর্ষের ঘটনায় সম্মেলন স্থগিত ঘোষনা করে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা যায়, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক মোল্লা স্বাগত বক্তব্যে সভাপতি প্রার্থী নাসিরউদ্দিন মেম্বারের সমালোচনা করে বক্তব্য দিলে সম্মেলনস্থলে উত্তেজনা শুরু হয়। এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল-কায়সার, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সামনেই নাসির মেম্বার ও আবু বকর সিদ্দিক মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রথমে চেয়ার ছোড়াছুড়ি পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ কর্মী সম্মেলন স্থগিত করেন।


এ সময় সংঘষে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি জলিল, আওয়ামীলীগ কর্মী নুরুজ্জামান, রুহুল আমিন, জান্নাত, রিফাত, আরমান, আল-আমিন ও আক্তার হোসেনসহ ২৫জন আহত হয়।

এ ব্যাপারে সভাপতি প্রার্থী নাসিরউদ্দিন মেম্বার বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বর্তমান সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে বক্তব্য দেয় এসময় সম্মেলনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ করলে তার লোকজন আমার নেতাকর্মীদের উপর লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। এতে আমার ১০/১৫জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

বর্তমান সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক মোল্লার সাথে একাধিক বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন রিসিভ করেননি।

সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভুঁইয়া বলেন, কর্মী সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে আমরা সম্মেলন স্থগিত করেছি।

সোনারগাঁ থানার ওসি মাহাবুব আলম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আপনার মতামত জানান