ব্রণ পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব

প্রকাশিত

ব্রণ বা একনি ভালগারিস একটি সাধারণ কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি ত্বকের রোগ। বয়স, লিঙ্গ, আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি এই ব্রণ তৈরির পেছনের কারণ। ত্বকের খুব সাধারণ এই সমস্যার প্রভাব দৈনন্দিন জীবনে অনেক।

কাদের হয়?
ব্রণ সাধারণত বয়ঃসন্ধিকাল থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়সের মানুষেরও হতে পারে।

বিশেষ করে ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়স পর্যন্ত। কখনো কখনো ৩০ বছর বয়সেও এটি দেখা দিতে পারে এবং অনেক বয়স পর্যন্ত স্থায়ীও হতে পারে।

কারণ
► ত্বকের অযত্ন

► হরমোনের পরিবর্তন

► অতিরিক্ত জাংক ফুড

► টেনশন বা দুশ্চিন্তা

► কম ঘুম

► অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি।

ব্রণ প্রতিরোধে করণীয়
► সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন।

► দিনে দুই-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোন।

► ব্রণে হাত লাগাবেন না।

► তেল ছাড়া অর্থাৎ ওয়াটার বেইসড মেকআপ ব্যবহার করুন।

► মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।

► রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

► দুশ্চিন্তামুক্ত থাকুন বা মানসিক চাপ পরিহার করুন।

► ফলমূল, শাক-সবজি বেশি খান এবং প্রচুর পানি পান করুন।

► কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করুন।

যা করা যাবে না
► তেলযুক্ত ক্রিম বা ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।

► রোদে বেরোবেন না, রোদ এড়িয়ে চলুন।

► ব্রণে হাত লাগাবেন না, খুঁটবেন না।

► মাথায় নারকেল তেল লাগাবেন না।

চিকিৎসা
ব্রণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ব্রণ ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। যেমন ত্বকে গর্ত সৃষ্টি হতে পারে, দাগ/স্কার সৃষ্টি হতে পারে, হাইপার প্রিগমেন্টেশন সৃষ্টি হতে পারে ইত্যাদি। এসবের কারণে চেহারা খারাপ দেখায় এবং অনেকে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

মেডিসিন, হরমোন কন্ট্রোল, কেমিক্যাল পিলিং ইত্যাদি হলো ব্রণের আধুনিক চিকিৎসা। ব্রণ পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব। তাই দেরি না করে একজন চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে চিকিৎসা নিন।

সূত্রঃ কালেরকণ্ঠ।

আপনার মতামত জানান