বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের লাশ সরিয়ে নিতে প্রতিবাদ, কবরে জুতাপেটা

প্রকাশিত

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি :
রাতের আঁধারে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদের লাশ দাফন করে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা সকাল থেকেই ভিড় খনির লাশ উঠিয়ে নিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আজ সকালে উপজেলার হোসেনপুরে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা নুরু মিয়া খুনির কবরে ঝাড়ু পেটা এবং ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা জুতাপেটা করেন। 

জানা যায়, রোববার রাত ৩টায় একজন লোক এসে আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বলে খুনি মাজেদের জানাযায় অংশ নিতে পরে তিনি আপত্তি জানালে তাদের সঙ্গে প্রশাসনের লোক ও আছে জানালে তিনি তাদেরকে বাশঁ দিয়ে চলে আসেন।

এলাকাবাসী জানান, খুনি মাজেদের চাচা শশুড় আলী আক্কাসের উস্কানীতে এ লাশ সোনারগাঁ আনার দুঃসাহস করে খুনির স্ত্রী। চাচা শশুড়ের তত্ত্বাবধানে কয়েকজন পুলিশসহ মোট ৬/৭ জনের একটি দল রাত আড়াইটার দিকে এসে তাড়াহুড়ো করে চাঁপামাটি দিয়ে পালিয়ে যায়।

বঙ্গবন্ধুর খুনি মাজেদের লাশ সোনারগাঁয়ে রাতের আধারে দাফন করার খবর ছড়িয়ে পড়লে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা প্রতিবাদে মুখর হয়ে উঠে। এ সময় তারা বিক্ষোভ মিছিল করে দ্রুত খুনি মাজেদের লাশ কবর থেকে তুলে নিয়ে অপসারন করে অন্যত্র মাটি দিয়ে সোনারগাঁয়ের মাটিকে কলঙ্কমুক্ত করার দাবি জানান।

বিক্ষোভের খবর পেয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ওসমান গনি খুনির লাশ তুলে নিতে প্রশাসনকে ৩ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডা সোহেল রানাসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জি. মাসুদুর রহমান মাসুম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারন সম্পাদক আলী হায়দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট সোনারগাঁ শাখার সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোতালিব, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাসেল মাহামুদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানকমান্ড সোনারগাঁ শাখার সভাপতি মেহের নিগার সোনিয়া প্রমূখ।

 

আপনার মতামত জানান