পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান

প্রকাশিত

পবিত্র ঈদ-উল-আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোনারগাঁ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে তিনি বলেন, বছর ঘুরে মুসলিম উম্মাহর আনন্দময় দিন ঈদুল আজহা আমাদের মাঝে সমাগত। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পৌরবাসীসহ সকল মুসলিম ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। ঈদ মোবারক।

পবিত্র ঈদুল আযহার প্রকৃত শিক্ষা ও ত্যাগের আদর্শ ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হোক-এই কামনা করছি।

কোরবানীর মুল উদ্দেশ্য হলো, হৃদয়েও যদি কোন পশু সূলভ আচরণ থাকে সেই পশুত্বকে হত্যা করতে হবে, সেটাকে জবাই করতে হবে। হাদিসে আছে, পশু জবাই খোদা তা’লার নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যম তবে তা ঐ ব্যক্তির জন্য যে নিষ্ঠার সাথে কেবল আল্লাহতায়ালার ভালোবাসায়, তার ইবাদাতের উদ্দেশ্যে ঈমান সহকারে পশু জবাই করে এমন কোরবানিকে আরবিতে ‘নুসক’ বলা হয়েছে, যার আরেকটি অর্থ অনুগত।

আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যারা আল্লাহর নামে কোরবানি করে তাদের জন্য সীমাহীন সওয়াবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাসুলুল্লাহ (সা.)।

কোরবানীর পর পৌরবাসী সহ সারা দেশকে দুর্গন্ধ মুক্ত ও পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে করনীয় বিষয়ে তিনি বলেন :
১) ঘরের বাইরে যে স্থানে কোরবানি দেওয়া হবে, সেই স্থানটি প্রচুর পরিমাণ পানি দিয়ে ঝাড়ু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।

২) গরম পানিতে অ্যান্টিসেপটিক লিকুইয়েড (ডেটল, স্যাভলন, ব্লিচিং পাউডার ইত্যাদি) মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৩) পশুর মলমূত্র, রক্ত, আবর্জনা যেখানে-সেখানে না ফেলে গর্ত করে মাটি চাপা দিতে হবে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

৪) খোলা জায়গা (যেখানে পশু কোরবানি দেওয়া হয়) সেখানে পানি ঢেলে ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে। এতে রক্তের গন্ধ এবং দাগ দুই কম হবে।

৫) কোরবানি শেষে হোগলার পাটি (যেখানে জবাই করার পর পশুর মাংস রাখা হয়) সেটি পুড়িয়ে ফেলা উচিত। না হলে এই হোগলা থেকে পরে মশার উপদ্রব হতে পারে।

৬) পশুর দেহ থেকে নাড়িভুঁড়ির উচ্ছিষ্ট বের করে যত্রতত্র ফেলে দিলে তা পচে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াবে এবং পরিবেশ দূষিত হবে। এইগুলো একটি গর্ত করে মাটি চাপা দিতে হবে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য কামনা করে বলেন, দেশ এখন উল্কার গতিতে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা এখন স্মার্ট বাংলাদেশের সিঁড়িতে। আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী কয়েক বছরে উন্নত রাষ্ট্রের দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

আপনার মতামত জানান