দেশে এখন আর গণতন্ত্র নেই – জিএম কাদের

প্রকাশিত

‘আওয়ামী লীগ একবার দেশকে দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে, পরে বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতিতে চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে। আবার বিএনপি গণতন্ত্র ধংসের কাজ শুরু করেছে, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্র পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। দেশে এখন আর গণতন্ত্র নেই।’

মঙ্গলবার দুপুরে কিং অব ফেনী কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে ফেনী জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমালোচনায় তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালের পর থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি স্বৈরতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। এখন দেশ চলছে স্বৈরতান্ত্রিকভাবে। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে মানুষ ভয় পাচ্ছে। সরকারের সমালোচনা শুনতেও মানুষ ভয় পায়। মানুষের আতঙ্ক দেখেই বোঝা যায়, দেশে গণতন্ত্র নেই। মানুষের মাঝে আতংকই গণতন্ত্র না থাকার প্রমাণ।’

এদিন আগামী নির্বাচনে নতুন একটি নির্বাচনী জোট গড়ার আভাস দেন জাপা চেয়ারম্যান।

জি এম কাদের বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে দুটি জোট হবে। একটির নেতৃত্বে থাকবে সরকারি দল, সাথে থাকবে তাদের সমর্থকরা। অপর জোটের নেতৃত্ব দেবে জাতীয় পার্টি। দেশের বঞ্চিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষ জাতীয় পার্টির পতাকা তলে যোগ দেবেন।’

এর যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাদের বাঁচাতে হলে সামনে চলতে হবে। তারা জাতীয় পার্টিকে বিকল্প শক্তি হিসেবে বিশ্বাস করে। নেতৃত্ব শূন্যতার কারণে বিএনপি কোন জোটের নেতৃত্ব দিতে পারবে না। কারণ বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে আছে, দেশের মানুষও বিএনপির ওপর আস্থা রাখতে পারছে না।’

স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন চৌধুরী রাশেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব ও প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, সাইদুর রহমান টেপা, লেয়াকত হোসেন খোকা এমপি, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার এমপি, ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন প্রমুখ।

সম্মেলনে বর্তমান আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন চৌধুরী রাশেদকে সভাপতি ও জহির উদ্দিন মজুমদারকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। একইসাথে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেয়া হয়।

আপনার মতামত জানান