দিন শেষে সালমান কারো কাছে ফিরুক- মহেশ

প্রকাশিত



সালমান খানের সঙ্গে মহেশ মঞ্জরেকর-এর বন্ধুত্বের কথা সারা ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই জানে। সম্প্রতি, মহেশ স্পষ্টভাবে জানান ব্যক্তিগতজীবনে কোথাও বড্ড ‘একা’ সালমান। বলিউডতারকার এমন কেউ নেই যে যাঁর কাছে ‘আশ্রয়’ পেতে পারে সে। বয়সে বেশ খানিকটা বড় হলেও তাঁদের বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে তা কখনওই অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়নি। ‘ওয়ান্টেড, ‘দাবাং’, ‘রেডি’-র মতো একাধিক ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন সালমান-মহেশ।

পর্দায় তাঁদের দু’জনকে একসঙ্গে দেখতে যে বেশ পছন্দ করে দর্শকরা, সেকথাও নতুন নয়। সম্প্রতি, মহেশের পরিচালনায় ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ ছবিতে কাজ করলেন সালমান। সেই ছবিতে রয়েছেন ‘ভাইজান’ এর ভগ্নপতি অভিনেতা আয়ুষ শর্মাও। এবার সেই প্রসঙ্গে কথা বলতেই সালমানের ব্যাপারে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা-পরিচালক।

সিদ্ধার্থ কনন্নকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে সালমানের ব্যাপারে কথা উঠলে বেশ খানিকটা বিমর্ষই হয়ে পড়েন মহেশ। স্পষ্টভাবে জানান ব্যক্তিগতজীবনে কোথাও বড্ড ‘একা’ সালমানএমন কেউ নেই যে যাঁর কাছে ‘আশ্রয়’ পেতে পারে সে। তিনি যে ভীষণভাবে চান সালমানের বিয়ে হোক, একজন সুখ-দুঃখের সঙ্গী হোক সে ব্যাপারেও মন্তব্য করতে দু’বার ভাবেননি ‘বাস্তব’ এর পরিচালক। সঙ্গে ও খোলাখুলি জানালেন যে সালমান যে বিয়ে করছে না সে ব্যাপারেও যথেষ্ট রাগ আছে তাঁর।

মহেশ তাঁর সঙ্গে সালমানের সম্পর্কের রসায়নের ব্যাপারে বলতে গিয়ে জানান যে তাঁর সঙ্গে বলিউড-তারকার সম্পর্ক আর পাঁচজন বন্ধুর মতো নয়। বরং এতটাই ঘনিষ্ঠ যে তাঁরা এমন অনেককিছুই আলোচনা করতে পারেন যা নিয়ে কথা বলার আগে অন্যরা বার পাঁচেক ভাববে। মহেশের কথায়, ‘সালমান যে বিয়ে করছে না তা নিয়ে আমার যেমন ওর জন্য চিন্তাও হয়, রাগও হয়। সেকথাও আমি খোলাখুলি জানাতে পারি। আমি সত্যি সালমানকে বিবাহিত অবস্থায় দেখতে চাই। ও সন্তান নিয়ে সুখে আছে সেটাও বড্ড দেখতে ইচ্ছে করে। সর্বোপরি এটুকুই চাই দিনের শেষে সালমান যেন কারও কাছে ফিরতে পারে’।

মহেশের দাবি, ‘ও আসলে যতটা নিজেকে খুশি দেখায় ততটা নয়। আমার তো মনে হয় কোথাও না কোথাও দিনের শেষে বড্ড একলা সালমান’। বিস্ময় ও আক্ষেপ মেশানো সুরে মহেশ বলে ওঠেন, ‘সলমনের মতো এতবড় একজন বলিউড-তারকা একই বাড়িতে গোটা পরিবারের সঙ্গে থাকে। সালমানের মাত্র একখানা বেডরুম। ভাবা যায়! বেশিরভাগ সময় ওঁর বাড়ি গেল;এ দেখি সোফায় শুয়ে, বসে, ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিচ্ছে। অবাক হয়ে ভাবি সেসব দেখে। আর হ্যাঁ, আমি জানি সালমানের দারুণ ভালো কিছু বন্ধু বান্ধব রয়েছেন যারা ওর জন্য ভাবেন। এমনকি ওর নিজের দুই ভাইও রয়েছে। কিন্তু ওদেরও তো পরিবার রয়েছে। তারাও তো একসময় সালমনের কাছ থেকে উঠে তাঁদের কাছে ফিরে আসে। তখন? তখন সালমানের কাছে কে থাকে? তখন সালমান কার কাছে যাবে?’

বক্তব্য শেষে কথার পিঠে মহেশ বলেন, ‘আমি যতবারই সলমনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলেছি বেশিরভাগ সময় হেসে পাশ কাটিয়ে চলে গেছে সলমন। অথচ আমি জানি এ ব্যাপরে আমার কথা মন দিয়ে শুনবে সালমান, বিবেচনাও করবে। সত্যিই আমি ওকে সেভাবে দেখতে চাই।

আপনার মতামত জানান