ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও হত্যা মামলার আসামি পেলেন নৌকার মনোনয়ন

প্রকাশিত


বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড বুধবার (১০ মার্চ) নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। তবে চাখারসহ আরো দুই একটি ইউনিয়নের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাসদে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।


এর মধ্যে বানারীপাড়া উপজেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ হুমায়ুন কবির হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও চাখার সরকারি ফজলুল হক কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুকে চাখার ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাসদে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সম্প্রতি টুকুসহ ওই হত্যা মামলার সকল আসামিদের ফাঁসির দাবিতে হত্যা মামলার বাদী ও নিহত সৈয়দ হুমায়ুন কবিরের ভাই সৈয়দ আপনুর এবং তার অশীতিপর বৃদ্ধা মা ও ভাই-বোনসহ জাসদ নেতা-কর্মীরা পৌর শহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং বরিশালে টাউন হলের সামনে মানববন্ধন করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ১৯ জুলাই শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে উপজেলা জাসদের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক রোজাদার সৈয়দ হুমায়ুন কবিরকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লোহার পেরেক ঢুকিয়ে ও অন্ডকোষ থেতলে দেওয়াসহ মধ্যযুগীয় কায়দায় বর্বর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই মামলার চার্জশীটভুক্ত প্রধান আসামি চাখার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি থেকে এসে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পাওয়া সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুকে লাল-সবুজ পতাকা, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার প্রতীক নৌকার মনোনয়ন দেওয়ায় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের শরীক জাসদের নেতা ও কর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকুর মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তার মনোনয়ন বহাল থাকলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গণপদত্যাগ করতে পারেন বলে জানা গেছে।


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী খিজির সরদারের নৌকার বিরোধীতা করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু ২০০১ সালে চাখার ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি হুমায়ুন কবির সিকদার হত্যা মামলারও আসামি ছিলেন।

আপনার মতামত জানান