ঘূর্ণিঝড় অশনি আতঙ্ক লাইটার জাহাজ ও ছোট নৌযান কূলে ফিরছে

প্রকাশিত

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে চট্টগ্রামে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সোমবার (৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ১২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে।


চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক সংকেতের ওপর ভিত্তি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। এখনো বন্দরের মূল জেটি, টার্মিনাল ও বহির্নোঙরে কনটেইনার, কার্গো ও শিপ হ্যান্ডলিং স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাদেশ লাইটার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা নবী আলম বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এখনো চট্টগ্রাম বন্দর ও বহির্নোঙরে পড়েনি। বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে আজও ছোট জাহাজে খোলা পণ্য খালাস হয়েছে। বেশ কিছু লাইটার জাহাজ এখনো বহির্নোঙরে আছে। তবে বেশিরভাগ লাইটার জাহাজ ও মাছ ধরার ট্রলার কর্ণফুলী নদীর শাহ আমানত সেতুর উজানসহ বিভিন্ন স্থানে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় জাহাজডুবির আশঙ্কায় বন্দর চ্যানেল থেকে সব ধরনের নৌযান সরিয়ে দেওয়া হয়।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২ নম্বর সংকেত বহাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মাঝারি থেকে ভারী, অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সাগরে অবস্থানরত ছেট নৌযানগুলোকে কূলে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আপনার মতামত জানান