উপপুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের পাশের রাস্তা থেকে মদ্যপ তরুণী উদ্ধার
মদ্যপ অবস্থায় ২০ বছর বয়সী এক তরুণী পড়েছিলেন ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) কার্যালয়ের পাশে। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান পথচারীরা।
উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর সড়কের উপপুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের পাশের রাস্তা থেকে গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান পথচারীরা। পরে খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ ছুটে আসে। ওই তরুণীর বাড়ি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলায়। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় এসেছেন।
ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ডিশ ব্যবসায়ী বিপ্লব ও গাড়ির ব্যবসায়ী ওমর ফারুক বলেন, ‘রাত সাড়ে ১০টা-১১টার দিকে ডিসি অফিসের পাশে রাস্তার মধ্যে পড়ে ছিল। তখন সে বেহুঁশ অবস্থায় রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছিল। তার পাশে বহু লোক জটলা বেঁধে ছিল। পরে তাকে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।’
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, ‘কিছুদিন আগে ঢাকায় এসেছি। ঢাকায় আসার পর এক মেয়ে ও এক ছেলের সঙ্গে পরিচয় হয়। মেয়েটির সঙ্গেই থাকি। পরে তারা একটি ছেলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ছেলেটির বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আমায় মদ খাওয়ায়ে আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করে। আমি বেহুঁশ হয়ে গেলে আমায় রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায়।’
এ সময় তিনি চিৎকার করতে করতে বলছিলেন, ‘আমার মা-বাবা অসুস্থ। মা হার্টের রোগী। তারা যদি আমার এই অবস্থা জানতে পারে, তাহলে মারা যাবে।’
ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘মাতাল হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় পথচারীরা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। পরে আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাই।’
ওই তরুণীর ভাইয়ের বরাত দিয়ে এসআই দেলোয়ার জানান, মেয়েটির ওপর তাদের সংসার নির্ভর করে। মেয়েটি ১৫ দিন আগে ঢাকায় এসেছে।
ধর্ষণের বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই বলেন, মেয়েটি সুস্থ হলে বিস্তারিত জানা যাবে। এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।
আজ সোমবার উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন বলেন, ‘ভুক্তভোগী মেয়ে ও তার ভাই কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আপনার মতামত জানান