সিএনজির গ্লাসে ঘুষি, প্রাইভেট কার চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত


রাজধানীর গুলশানে প্রাইভেট কারে সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তর্কে জড়ান প্রাইভেট কার ও সিএনজি অটোরিকশার চালক। একপর্যায়ে সিএনজি অটোরিকশার সামনের গ্লাসে ঘুষি মারেন প্রাইভেট কারের চালক আবু হানিফ রানা (৩৫)। এতে তিনি আহত হন। আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ মিয়া জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় ওই যুবককে স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


রানার বড় বোন রোখসানা সুলতানা বলেন, তাঁদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার কুমলাই গ্রামে। বাবার নাম মৃত শেখ হাসান। রানা গুলশানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রাইভেট কারের চালক ছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠানেই থাকতেন। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান গ্রামের বাড়িতে থাকেন।

রোখসানা সুলতানা আরও বলেন, দুপুরে রানার ফোন থেকে তিনি সংবাদ পান, গুলশান-১-এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে। তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তখন তিনি ওই হাসপাতালে গিয়ে রানাকে আহত অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে রানাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সময় প্রাইভেট কারেই ছিলেন রানার সহকর্মী আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, গুলশান-১-এ উল্টো পথে আসা একটি সিএনজি এসে প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেয়। তখন রানা গাড়ি থেকে নেমে সিএনজিচালকের কাছে জানতে চান, ব্রেক না করে কেন গাড়িতে ধাক্কা দিয়েছে। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রানা সিএনজির সামনের গ্লাসে ঘুষি মারেন। এতে রানার হাত কেটে যায়। তাঁকে স্থানীয় ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে এসেছি। ঘটনাস্থলের সিসি ফুটেজে দেখা যায়, দুপুরে গুলশান অ্যাভিনিউ থেকে ৩২ নম্বর রোডের দিকে যাওয়ার সময় একটি সিএনজি প্রাইভেট কারের সামনে ধাক্কা দেয়। এরপর চালক রানা বাইরে বের হয়ে সিএনজির সামনে দাঁড়িয়ে কেন এমন করল জিজ্ঞাসা করেন এবং সিএনজির সামনের গ্লাসে ঘুষি মারেন। এতে রানার হাত কেটে রক্ত ঝরতে থাকে। তখন ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে তাঁর মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

সোহেল রানা বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান