স্ব-পরিবারে এতিমদের সাথে ইফতার করলেন ইউএনও

প্রকাশিত


স্ব-পরিবারে এতিমদের সাথে পবিত্র রমজানের ইফতার করেছেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। ২৫ এপ্রিল শনিবার মাগরিবের আযানের পূর্ব মূহুর্তে এতিম মাদ্রাসা ছাত্রদের জন্য ইফতার নিয়ে স্ত্রী সন্তান সহ হাজির এতিমখানায়। ঘটনাটি সোনারগাঁ উপজেলার। প্রথম ইফতারে ইউএনওকে কাছে পেয়ে এতিম ছাত্রদের চোখে আনন্দ অশ্রু ভেসে ওঠে।

পরিবার পরিজনের সাথে সবাই যখন ইফতার নিজ নজি ঘরে ইফতার নিয়ে ব্যস্ত তখন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলামকে এতিমখানায় দেখে শিক্ষকরাও রীতিমতো চোখের জল ফেলতে শুরু করেন। তারা জানান, প্রশাসনে এমন দরদী মানুষ আমরা অঅগে কখনো দেখিনি। তিনি সারাদিন নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা না ভেবে সোনারগাঁয়ের আনাচে কানাছে আমাদের ভালো রাখতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কৃষকের ধান, খাদ্যের মান, বাজার মনিটরিং সহ সবদিকে খেয়াল রাখার পরও পরিবার নিয়ে এতিমদের সাথে ইফতার করতে ছুটে এসেছেন এটা কোনদিন কল্পনাও করিনি। আল্লাহ তাঁর সহায় হবেন।

মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মো. আরিফ জানান, আজ ইফতারের ঠিক পূর্ব মূহুর্তে স্ত্রী ও সন্তানসহ ইফতার নিয়ে তিনি সোনারগাঁ পৌরসভার ভট্টপুর এলাকায় হেফজ খানা মাদরাসাতুস সিরাতিল মুস্তাকিম ও এতিম খানায় হাজির হন। এতে মা বাবা হারা সন্তানরা যেন প্রথম রোজায় ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছেন। শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা বড় হয়ে স্যারের মতো একজন মানবিক মানুষ হতে চাই।

স্থানীয় মসজিদের মুতোয়াল্লী গাজী আবুল হাশেম জানান, করোনায় ছুটির মধ্যেও মা বাবা হারা শিশুদের এতিমখানাই একমাত্র ঠিকানা। উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদের একজন কর্মকর্তা তাদেরকে নিয়ে একসাথে বসে ইফতার করেছেন এটা এতিমদের জন্য কত আনন্দের তাদের চোখ দিকে তাকিয়ে বুঝতে পেরিছি।। এসময় করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য সোনারগাঁবাসী ও দেশবাসীর জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, এতিমদের সাথে ইফতারে কি যে স্বর্গীয় শান্তি তা না করলে কেউ বুঝবে না। আমি বিশ্বাস করি যখন যেখানেই থাকি সেখানে এতিম বলে কোন শব্দ থাকবে না। আমি তাদের অভিভাবক, তারা আমার সন্তান। তাইতো সন্তানকে তাদের পাশে বসিয়ে ইফতার করে মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছি। লেখাপড়া করলে শিক্ষিত হওয়া যায়, একমাত্র পরিবারই সন্তানকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারে।

আপনার মতামত জানান