বাংলাবাজার–প্রেমের বাজার রাস্তা ৩ যুগেও সংস্কার হয়নি
ডেইলি সোনারগাঁ >>
বাংলাদেশ যখন উন্নয়ণের মহাসড়কে তখনও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বাংলাবাজার – প্রেমের বাজার সড়কে প্রায় ৪০ বছর ধরে কাদামাটি দিয়ে চলছে কয়েক হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন যাবত এ সংযোগ সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে দশ গ্রামের মানুষ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের জাঙ্গাল, প্রেমের বাজার, দৌলতপুর, হযরতপুর, দড়িকান্দি, যাত্রাবাড়ি সহ কয়েকটি গ্রাম কৃষির উপর নির্ভরশীল। রাস্তার বেহালদশার কারনে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে পারছেন না। যোগাযোগের একমাত্র সড়কটি নাজেহাল হওয়ায় কৃষিপন্য উৎপাদন ও বাজারজাত করতে দ্বিগুন খরচ করে খুব বেশী লাভবান হচ্ছেন না পাঁচগ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয় হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও ইউনিয়ন পরিষদে যেতে এ রাস্তার বিকল্প নেই। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। শুকনা মৌসুমে ধুলায় একাকার হয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, রাস্তাটি যত দ্রুত সম্ভব যেন পাকা করা হয়।
জাঙ্গাল গ্রামের সতুরোর্ধ্ব ফজলুর রহমান জানান, ১৯৮১/৮২ সালে এ এলাকার জনদুর্ভোগ লাগবে বাংলাবাজার ও প্রেমের বাজারের সাথে যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি নির্মান করা হয়। এরপর আর এ রাস্তার দিকে কারো চোখ পড়েনি। নির্বাচনের সময় এলে সবাই এটি সংস্কারের আশ্বাস দিলেও পরে কেউ কথা রাখেনি।
ইউসুফ আলী জানান, সামান্য বৃষ্টি হলে জাঙ্গাল, প্রেমের বাজার দৌলতপুর, হযরতপুর, দড়িকান্দি, যাত্রাবাড়ি সহ কয়েকটি গ্রামের শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারে না। এ রাস্তার নাম শুনলে বর্ষাকালে কাঁদা ও শুকনো মৌসুমে ধুলোবলির বয়ে কোন গাড়ি আসতে চায় না। বাধ্য হয়ে কাঁদামাড়িয়ে শিশু, বৃদ্ধ ও গ্রামের মা বোনেরা চলাচল করে।
স্থানীয় সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ বলেন, ‘প্রায় তিন কিমি. সড়কটি নির্মাণের ৩৮ বছর অতিবাহিত হলেও সংস্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করছে কয়েক হাজার মানুষ। তবে ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা উদ্যোগ নিয়েছেন রাস্তাটি মেরামত করার জন্য। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস, জেলা পরিষদের কাছে মৌখিকভাবে জানিয়ে ও লিখিত আবেদন করেছি। আমার ইউনিয়নের এ রাস্তা দেখলে বুঝতে পারবেন আমরা কোন যুগে আছি।
সোনারগাঁ উপজেলার প্রধান প্রকৌশলী আলী হায়দার খান (এলজিইডি) জানান, রাস্তাটি পাকা করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে আগামী দু’এক মাসের মধ্যে সংস্কারের কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করি।
আপনার মতামত জানান