রাঙ্গাবালীতে ৭ হাজার ৮শ’ ১০ হেক্টর জমির আমনের ক্ষতির আশঙ্কা
ঘূর্ণিঝড় ‘ বুলবুল’ দুর্বল হয়ে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে অতিক্রম করায় ঘর- বাড়ি গাছপালার তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত বাতাসের একটানা গতি থাকায় ৭হাজর ৮শ’ হেক্টর আমন ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ৩৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে । গত দুইদিনের টানা বৃষ্টিতে অধিকাংশ নিচুস্তর জমিতে পানি জমে প্রায় ২ ভাগ অর্থাৎ ৭শ’ ১০ হেক্টর ধান নষ্ট হতে পারে। এছাড়া বাতাসের তীব্রতার কারনে ১৫ থেকে ২০ ভাগ(৭ হাজার ১শত) জমির ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্যোগকালীন সময় পার হয়ে গেলে সঠিক তথ্য নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে ৩৫ হাজার ৫০০ হেক্টরের চাষাবাদের হিসাব অনুযায়ী যদি পানিতে ৭১০ হেক্টর এবং বাতাসের কারণে ৭ হাজার১শ’ হেক্টর জমির ধান নষ্ট হয়ে যায় সেক্ষেত্রে মোট ৭ হাজার ৮ শত১০হেক্টর জমির ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের আমন চাষি নাসির মৃধা বলেন, এবারে দেড় কানি (৩৬০ শতাংশ) জমিতে আমন ধান আবাদ করেছি। গত দুই দিনের বৃষ্টির পানিতে ৬ করা(১৮ শতাংশ) জমির ধান শুয়ে পরেছে। এছাড়াও কিছু জমিতে মাত্র ফলন আসছে তা আবার বাতাসে পিটিয়েছে সেগুলো চিটা (নষ্ট) হয়ে যাবে।
একই ইউনিয়নের সাজির হাওলা গ্রামের আরেক চাষি জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন, ২৪০ শতাংশ জমিতে আমন ধানের চাষ করেছি। টানা বৃষ্টি ও ধমকা বাতাস ও জোয়ারের পানিতে একাকার হয়ে গেছে যা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাবে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান বলেন, এখনই চূড়ান্তভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে ১৫ থেকে ২০ ভাগ জমির ফসল ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
আপনার মতামত জানান