দুই তেল চোর ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে র্যাবের মামলা
চোরাই তেল বিক্রির অভিযোগে র্যাব-১১ এর একটি দল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ও রাতে অভিযান চালিয়ে চোরাই তেল সহ মেঘনা ঘাট এলাকা থেকে সেলিম রেজা ও ছয়হিস্যা গ্রাম থেকে রফিকুল ইসলাম সরকারকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় র্যাব বাদি হয়ে পৃথক দুইটি সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-১১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা ঘাট এলাকায় চোরাই তেল বিক্রির দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ১০ ব্যারেল চোরাই তেল সহ সেলিম রেজাকে গ্রেফতার করা হয়। সেলিম রেজা মেঘনাঘাট এলাকার প্রতাবের চর গ্রামের ছমির উদ্দিন প্রধানের ছেলে শাহাবুদ্দিন প্রধানের দোকানের ম্যানেজার। শাহাবুদ্দিন প্রধান দীর্ঘ দিন ধরেই চোরাই তেলের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তার ম্যানেজারকে আটক করলে সে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি আবু সৈয়দ বাদি হয়ে সেলিম রেজা ও শাহাবুদ্দিন প্রধানকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেন।
এ দিকে ওইদিন রাতেই উপজেলার ছয়হিস্যা চর গ্রামের কাসেম সরকারের ছেলে চোরাই তেল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম সরকারের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। পরে ছয়হিস্যা গ্রামের পাশ থেকে তিনটি স্টিলের বোর্ড সহ চোরাই তেল ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় রফিকুল ইসলাম তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য র্যাবকে ১০ লাখ টাকা উৎকোচ দিতে চাইলে তাকে টকা সহ আটক করা হয়। এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি মোতালিব ঢালী বাদি হয়ে তার বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নেন।।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা গ্রামের কাসেম সরকারের ছেলে রফিকুল ইসলাম সরকার একটি বাহিনী গড়ে তোলে। তার এই নিজস্ব বাহিনী দিয়ে মেঘনা নদীতে চলাচলরত তেলবাহী জাহাজ থেকে রাতের আধারে (পাম ওয়েল, সয়াবিন) চুরি করে পরে বিক্রি করে থাকে কোটি পতি বনে যায়। এছাড়াও সে এলাকায় সাধারন মানুষের জায়গা বিভিন্ন কোম্পানীর কাছে দলিল জালিয়াতি করে বিক্রি করে। কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই তাকে মারধর ও হামলা মামলার ভয় দেখানো হয়। ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো ফল হয়না।
আপনার মতামত জানান