‘রাজদণ্ড’ অস্ট্রেলিয়ার ক্রীড়া ডেস্ক
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিততে হলে বিশ্বরেকর্ডই করতে হতো ভারতকে। লন্ডনের ওভালে আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেই রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনাও ছিল ভারতের। তবে অস্ট্রেলিয়া বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দ্রুত ধসে পড়ে রোহিত শর্মার ভারতের ইনিংস। ২০৯ রানে হেরে আইসিসি ইভেন্টে ভারতের শিরোপা জয়ের অপেক্ষা আরও বাড়ল।
৩ উইকেটে ১৬৪ রানে আজ পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে ভারত। হাতে ৭ উইকেট নিয়ে আরও ২৮০ রান করতে হতো রোহিতের দলকে। উইকেটে তখনো ছিলেন বিরাট কোহলি ও অজিঙ্কা রাহানে। তবে চতুর্থ উইকেটের জুটি লম্বা করতে পারেননি কোহলি ও রাহানে। ৪৭ তম ওভারের তৃতীয় বলে স্কট বোল্যান্ডকে কাভার ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন কোহলি। দ্বিতীয় স্লিপে স্টিভ স্মিথের হাতে ধরা পড়েন ভারতীয় এই ব্যাটার। ৪৯ রানে কোহলির আউটে ভেঙে যায় ৮৬ রানের জুটি। একই ওভারের পঞ্চম বলে রবীন্দ্র জাদেজাকে ফেরান বোল্যান্ড। বোল্যান্ডের জোড়া আঘাতে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৭৯ রান।
বোল্যান্ডের জোড়া আঘাতের পর উইকেটে আসেন শ্রীকর ভরত। ভরতকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সাবলীলভাবেই এগোচ্ছিলেন রাহানে। তবে রাহানে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। রাহানেকে অ্যালেক্স ক্যারির কট বিহাইন্ড করে ভারতের আশা একরকম শেষ করে দেন মিচেল স্টার্ক। তাতে ভেঙে যায় রাহানে-ভরতের ৩৩ রানের জুটি। ১০৮ বলে ৪৬ রান করেন রাহানে। রাহানের বিদায়ে ৬ উইকেটে ২১২ রান হয়ে যায় ভারতের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ভারত অলআউট হয়ে যায় ২৩৪ রানে। সিরাজকে ফিরিয়ে ভারতের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন নাথান লায়ন। ভারতের ইনিংসের সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন লায়ন।
২০১৯-২১ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রের ফাইনালও খেলেছিল ভারত। সাউদাম্পটনে হওয়া সেই ফাইনালে ভারতকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। সেবার ভারতের অধিনায়ক ছিলেন বিরাট কোহলি।
আপনার মতামত জানান