বেতন ১ কোটিরও বেশি!
করোনা অতিমারীতে রোজগার করাই যেখানে দুঃসাধ্য, সেখানে এক কোটি টাকার চাকরি, শুনেই খুশির আমেজ Kharagpur IIT ক্যাম্পাসে। সাত জন পড়ুয়া বার্ষিক ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বেতনে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরই মধ্যে রয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের ভোগপুরের খন্ডখোলা অঞ্চলের চাকদহ গ্রামের বাসিন্দা শেখ ওয়াসেফুর রহমানের পুত্র ২২ বছর বয়সের শেখ ইজাজুর রহমানও।
ভারতীয় একটি সংস্থা তাঁকে সুযোগ করে দেয়। ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডুয়াল ডিগ্রী কোর্সের অন্তিম বর্ষের ছাত্র শেখ ইজাজুর রহমান সফটওয়্যার ডেভেলপার পদে চাকরি পেয়েছেন। বাকি ৬ জন কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র। ভোগপুরের শেখ ইজাজুর বলেন, ‘আমি এতটা আশা করিনি। আমার ইচ্ছে ছিল ভালো একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে যাওয়ার। গুগল ,মাইক্রোসফট এ সব কোম্পানিতে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল। প্লেসমেন্ট শুরুর আগে আমি গুগল ডাইওয়ান থেকে অফার পেয়ে গিয়েছিলাম। সে জন্য আমি চেষ্টা করেছিলাম ভাল কোম্পানিগুলোতে যাওয়ার, আর ঘটনাচক্রে সেটা হয়ে গিয়েছে।’
তবে পরবর্তী প্রজন্মের পড়ুয়াদের জন্য বার্তাও দিয়েছেন শেখ ইজাজুর। তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে IIT-তে পড়া মানেই কোটি টাকার চাকরি নয়, তাই হতাশ হলে চলবে না। আমিও ৩০ লক্ষের চাকরি আশা করেছিলাম।’
কন্যাসন্তানের জন্য স্বামী ছেড়ে যায়নি, আটকে রেখেছিল হাসপাতাল! দাবি গৃহবধূর
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ইজাজুর রহমান অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত গ্রামের দেরিয়াচক অরবিন্দ বিদ্যাপীঠে পড়েছেন। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত তমলুক হ্যামিল্টন হাইস্কুলে। ২০১৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে IIT-তে ভর্তি হন। ইজাজুরের বাবা শেখ ওয়াসেফউর রহমান কামিনাচক হরিচরণ এক নম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। মা আনোয়ারা বেগম গৃহবধূ। ছেলের এমন সাফল্যে আপ্লুত গোটা পরিবার। আনন্দে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। তাঁর বাবা আবেগ প্রবণ হয়ে বলেন, ‘কথা বলার মতো ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, ছেলের সাফল্য আমাদের খুশি করে দিয়েছে। ছোটোবেলা থেকে আমার ছেলে পড়াশুনায় খুব ভালো, সারাদিন পড়াশুনার মধ্যেই ডুবে থাকত, নিজের মতো সময় করে একটু খেলতে বের হত। আমরা কোনও দিন ওকে কোনও কিছুতে বাধা দিইনি বা জোর করিনি। ছেলের এমন সাফল্যে আমরা আপ্লুত সকলেই।’ মা আনোয়ারা বলেন, ‘আমার ছেলে এমন ভালো বেতনে চাকরি পাবে তা আমরা কোনওদিন ভাবিনি, সত্যিই আনন্দিত আমরা।’
আপনার মতামত জানান