নোবেলের দৃষ্টিকটু ছবি আপলোড, প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন স্ত্রী
কণ্ঠশিল্পী নোবেল নিজের ফেসবুকে একটি ছবি আপলোড করেছেন। দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের নাফাকুম জলপ্রপাতের পাশে এক নারীর সঙ্গে বসে দৃশ্যত কোনো এক ধরনের নেশা গ্রহণ করছেন। বিষয়টি দেখে মেজাজ ঠিক রাখতে পারেননি নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। নিজের ফেসবুকে এই ছবিটিকে ইঙ্গিত করে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সালসাবিল মাহমুদ।
সালসাবিল লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
নোবেল ছবিটির ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘গাঁজার নৌকা পাহাড়তলী যায় ও মিরাবাই…’ এটি একটি গানের অংশ হলেও সালসাবিল মাহমুদ অনুমান করছেন, নোবেল গাঁজা খাওয়ার ছবি পোস্ট করেছেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সালসাবিল মাহমুদ বলেন, ‘যেহেতু কল্কিতে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছেন একজন, তাহলে এটা গাঁজা, আর কি?’
যার ফলে সালসাবিল নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আমি লজ্জিত এ রকম একটা দেশে জন্মগ্রহণ করে। অনুগ্রহপূর্বক বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী যেন আজ থেকে কোনো নেশাগ্রস্ত স্টুডেন্ট বা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার না করে অথবা শাস্তি না দেয়। আমাদের দেশের ইনফ্লুয়েন্সাররা যেখানে নিজেদের নেশাগ্রস্ত ছবি আপলোড করে এটাকে একটি ট্রেন্ডে পরিণত করেছে এবং বাংলাদেশ প্রশাসন এ বিষয়ে কিছু করতে অক্ষম, সেখানে অন্য জনগণকে নেশা এবং মাদকদ্রব্যসংক্রান্ত বিষয়ে হেনস্তা করার অধিকার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী আর রাখে না।’
সালসাবিল বলেন, ‘এমন একটি দেশে জন্মগ্রহণ করে সত্যি আমি লজ্জিত যে দেশে নারী নির্যাতন ছেলে মানুষের পুরুষত্ব প্রমাণের মাপকাঠি। এমনকি যে দেশে একজন স্বামীর কাছে স্ত্রী নিরাপদ না গোপনে ধারণকৃত পারসোনাল মোমেন্টের ভিডিও দিয়ে স্ত্রীকে খুব সহজেই ব্ল্যাকমেইল করে রাখা যায় এবং তা সম্পর্কে বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইমও অবহিত।’
তিনি বলেন, যে দেশে সম্মানিত ব্যক্তিগণ কিছু সাময়িক ফেইম অর্জন করা মানুষদের কোনো রকম চেকিং ছাড়াই এয়ারপোর্ট ক্রসিংয়ের ব্যবস্থা করে দেয় এবং তারা নিজেদের ইচ্ছামতো ড্রাগস বাংলাদেশে নিয়ে আসে, সে দেশে পরিমনি কেন গ্রেপ্তার হবে? যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির চোখে আমার এ স্ট্যাটাস পড়ে, দয়া করে উত্তর দিয়ে যাবেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীদের ‘হেয়’ করে মন্তব্য করেন নোবেল। পরে এ নিয়ে বিভিন্নজনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান। র্যাবও তাকে ডেকে নেয়। যেখানে তিনি বলেন, নিজের আসন্ন গান ‘তামাশা’র প্রচারে এমনটা করেছেন। এ যাত্রায় ক্ষমা চেয়ে র্যাবের কাছে লিখিত দিয়ে আসেন তিনি।
এবার নাফাকুম থেকে পোস্ট করা ছবিটি যদি নেশা গ্রহণের হয় তাহলে নোবেল কি এবারও ছাড় পেয়ে যাবেন? সময়ের বিষয়, দেখা যাক।
আপনার মতামত জানান